পিছনে Jio, Vi, গ্রাহক কিছু লাভের অংকে সবার উপরে Airtel

২০২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (Q1, FY23) সর্বোচ্চ এআরপিইউ (ARPU) বা গ্রাহক পিছু গড় আয় হাসিলের ভিত্তিতে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স জিও’কে (Jio) পেছনে ফেলতে চলেছে ভারতী গোষ্ঠীর…

২০২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (Q1, FY23) সর্বোচ্চ এআরপিইউ (ARPU) বা গ্রাহক পিছু গড় আয় হাসিলের ভিত্তিতে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স জিও’কে (Jio) পেছনে ফেলতে চলেছে ভারতী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংস্থা এয়ারটেল (Airtel)। বিশ্লেষকদের অনুমান, উল্লিখিত সময়ে Airtel -এর এআরপিইউ স্তর ১৮৪-১৮৫ টাকায় পৌঁছতে পারে। এক্ষেত্রে অনুমান সঠিক হলে এআরপিইউ স্তরের নিরিখে Airtel টেলিকম ক্ষেত্রের সবচেয়ে সফল সংস্থায় পরিণত হবে, যেখানে Jio বা Vi -এর স্থান হবে তাদের অনেক পেছনে।

নিজেদের ‘প্রিমিয়াম সার্ভিস প্রোভাইডার’ রূপে তুলে ধরতে সচেষ্ট Airtel

আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি বেশ কিছু সময় ধরেই এয়ারটেল যেভাবে উচ্চ-এআরপিইউ স্তর বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার নিরিখে বিচার করলে সংস্থার গ্রাহক পিছু গড় আয় বৃদ্ধির এই ঘটনাকে কোনমতেই অস্বাভাবিক বলা চলেনা। বরং এক্ষেত্রে স্বীকার করে নেওয়াই ভালো যে এয়ারটেল তাদের সাম্প্রতিক নীতির দ্বারা সব অর্থেই যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে, এই মুহূর্তে তারা নিজেদের প্রিমিয়াম পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে তুলে ধরতে সচেষ্ট, যা তাদের সাফল্যকে অনেকখানিই নিশ্চিত করেছে।

সত্যি কথা বলতে সমসময়ে এয়ারটেলের পরিষেবাধীন গ্রাহকদের একটি বড় অংশ প্রিমিয়াম পরিষেবা লাভের জন্য তুলনায় খানিকটা বেশি খরচ করতেও কুন্ঠিত নন। এই তুলনামূলক বেশি খরুচে গ্রাহকেরাই আলোচ্য সংস্থার এআরপিইউ স্তর বৃদ্ধির জন্য প্রধানভাবে দায়ী। এয়ারটেলের মূল প্রতিপক্ষ জিও অবশ্য এই ধরনের বাড়তি খরুচে গ্রাহক সংগ্রহের ব্যাপারে বরাবর কিছুটা পিছিয়ে। ফলত উচ্চ-এআরপিইউ স্তর অর্জনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারটেলকে সেভাবে বেগ দিতে পারছে না।

ট্যারিফের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান Airtel

তাছাড়াও এয়ারটেলের এআরপিইউ সীমা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের বর্ধিত ট্যারিফ মূল্যও ভীষণভাবে দায়ী। এখানে বলে রাখতে হয় যে গতবছরের অন্তিমপর্বে ট্যারিফের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রধান তিন টেলিকম অপারেটরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় এয়ারটেল। এরপর বছর পেরোতে না পেরোতেই সংস্থাটি পুনর্বার দ্বিতীয় দফায় ট্যারিফ মূল্য বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে খুব শীঘ্রই সংস্থাটির এআরপিইউ স্তর ২০০ টাকায় পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, Airtel -এর বিনিয়োগকারীরা সংস্থার সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সে বেশ খুশি। এর ফলে 5G স্পেকট্রাম নিলামের আগে নতুন করে মূলধন আদায় করা সংস্থাটির পক্ষে খুব একটা কঠিন হবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। এর নিরিখেও তারা Jio এবং ভোডাফোন আইডিয়া (Vi) -র অপেক্ষায় অনেকখানি এগিয়ে থাকবে।