১ সেকেন্ডে ১ জিবি স্পিড, 5G ট্রায়ালে অভূতপূর্ব নিদর্শন Airtel এর

সমস্ত বিতর্ককে পাশে সরিয়ে রেখে জোরকদমে চলছে 5G প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ। এই মুহূর্তে মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই দেশে…

সমস্ত বিতর্ককে পাশে সরিয়ে রেখে জোরকদমে চলছে 5G প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ। এই মুহূর্তে মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই দেশে 5G পরিষেবা রোল-আউট শুরু হতে পারে। ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম বা DoT -এর নির্দেশ শিরোধার্য করে ইতিমধ্যেই দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশে 5G ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। তাছাড়া গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও 5G পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। Airtel, Vodafone-Idea, Reliance Jio -এর মতো সংস্থাগুলি ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছে যার ফলাফল রীতিমতো চমকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে! বিশেষত দেশের অন্যতম টেলিকম অপারেটর, এয়ারটেল এক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা MTNL -কেও ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

Airtel -এর 5G ট্রায়াল – গতির এক অভূতপূর্ব নিদর্শন

পূর্বেই বলেছি যে 5G এয়ারটেলের ফলাফল রীতিমতো চমকপ্রদ। ET Telecom -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গুরগাঁওয়ের সাইবার হাবে এয়ারটেলের প্রাথমিক 5G ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এক্ষেত্রে DoT তাদের ৩৫০০ মেগাহার্জের ব্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়। সেইমতো ট্রায়াল চালিয়ে এয়ারটেল অসাধারণ ইন্টারনেট দ্রুততার নিদর্শন প্রত্যক্ষ করেছে। ET Telecom -এর সাংবাদিক দানিশ খানের আপলোড করা একটি ভিডিও’য় দেখা গিয়েছে ট্রায়ালের ফলাফল সর্বোচ্চ এক গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ডের গতি স্পর্শ করেছে! এই ফলাফলে উৎসাহিত এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ খুব তাড়াতাড়ি মুম্বই মহানগরেও 5G ট্রায়াল রান শুরু করতে চলেছে।

উল্লেখ্য, 5G নেটওয়ার্ক ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুতিতে Ericsson সংস্থা এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এক্ষেত্রে দেশের টেলিকম অপারেটরগুলি কোনো চীনা প্রস্তুতকারকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না, কেননা DoT -এর পক্ষ থেকে সে বিষয়ে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই ZTE বা Huawei -এর বদলে প্রথম সারির টেলকোগুলিকে Ericsson, Nokia, Samsung, C-DOT -এর মতো সংস্থা চয়ন করতে হয়েছে।

ET Telecom দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টে 5G ট্রায়াল রান সংক্রান্ত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা গিয়েছে। পূর্বেই বলেছি যে পরীক্ষার জন্য এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকে ৩৫০০ মেগাহার্জের স্পেক্ট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া তারা ৭০০ মেগাহার্জ ও ২৮ গিগাহার্জের দুটি স্পেক্ট্রাম ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অপরপক্ষে ভোডাফোন-আইডিয়া এবং রিলায়েন্স জিও কর্তৃপক্ষ পেয়েছে যথাক্রমে ৭০০ মেগাহার্জ এবং ৩.৫ ও ২৬ গিগাহার্জের ব্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি।

সর্বোপরি প্রতিবেদন থেকে এও জানা গিয়েছে যে দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে এয়ারটেল ইতিমধ্যেই Dynamic Spectrum Sharing(DSS) প্রযুক্তি সহ ১৮০০ মেগাহার্জের স্পেকট্রাম ব্যবহার করে ফেলেছে। 5G পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরীতে তারা যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, এয়ারটেল এবং জিও উভয় সংস্থাই সেটি DoT কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে তারা 5G স্পেক্ট্রাম নিলাম সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আগামী বছরের সূচনায় এই নিলাম সংঘটিত হতে পারে বলে আমাদের অনুমান।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন