একটি কোম্পানি ছাড়া হংকং থেকে সার্ভার সরিয়ে নিচ্ছে সমস্ত ভিপিএন সরবরাহকারী, জানুন কারণ

বিক্ষোভ, বয়কটের মধ্যেই সম্প্রতি হংকং এ চালু হয়েছে নতুন নিরাপত্তা আইন। এই আইনের মাধ্যমে জনসাধারণের বাক-স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে…

বিক্ষোভ, বয়কটের মধ্যেই সম্প্রতি হংকং এ চালু হয়েছে নতুন নিরাপত্তা আইন। এই আইনের মাধ্যমে জনসাধারণের বাক-স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। এরপরই বেশিরভাগ ভিপিএন সরবরাহকারী তাদের সার্ভার হংকং থেকে সরিয়ে নেও য়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন, আর্টিকেল ৪৩ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে যাতে “বিচ্ছিন্নতাবাদ, পরাধীনতা, সন্ত্রাসবাদ এবং বৈদেশিক হস্তক্ষেপ” এর কথা বলে।

তবে বেশিরভাগ ভিপিএন সরবরাহকারী তাদের সার্ভার হংকং থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এক্ষুনি হংকং ছাড়ছেনা একমাত্র ProtonVPN। প্রোটন টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি ইয়েন জানিয়েছেন, দীর্ঘ আলোচনার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হংকংয়ে তাদের সার্ভার রাখবেন এবং তারা তাদের সার্ভার ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করেছে।পাশাপাশি কোম্পানি হংকংয়ের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি ভবিষ্যতে কোম্পানিকে হংকং থেকে সার্ভার সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় তাহলে কোম্পানি কোর্টের দ্বারস্থ হবে এমনটাই জানা গেছে। এই বিষয়ে ইয়েন আরো বলেছেন “আমাদের দীর্ঘকালীন নীতি হল তাদের মূল্যবোধের সাথে আপস না করে দেশ ত্যাগ করা। তবে, লড়াই না করেই দেশ ছেড়ে যাওয়া আমাদের নীতি নয়”। কোম্পানিটি যতক্ষণ সম্ভব সাধারণ লোকদের মৌলিক অধিকার দেওয়ার জন্য লড়াই করবে।

ProtonVPN এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে সাম্প্রতিক আইনের পর হংকং সার্ভার এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভিপিএন ব্যবহারকারীরা তাদের সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষা করতে হংকং সার্ভার ব্যবহার না করাই ভালো। তার বদলে তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, জাপান, সাউথ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার সার্ভার ব্যবহার করা ভালো। তবে, যদি হংকংয়ে সার্ভার ব্যবহার করতেই হয় তবে তারা এটিকে সুরক্ষিত রাখতে বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে। সেগুলি কি দেখে নেওয়া যাক:

প্রথমত তারা একটি Secure Core VPN এর সুবিধা প্রদান করবে, যার মাধ্যমে প্রথমে ট্র্যাফিক কে কঠোর ডেটা প্রটেকশন আইন আছে এমন দেশের সার্ভারের মাধ্যমে চালানো হবে এবং তারপর হংকং সার্ভারে কানেক্ট হবে। এর ফলে ProtonVPN ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, প্রোটনভিপিএন-এর একটি কঠোর নো-লগ নীতি রয়েছে এবং তাদের কোনও ভিপিএন সার্ভারে ব্যক্তিগতভাবে সনাক্তযোগ্য কোনও তথ্য সংরক্ষিত থাকে না। এর অর্থ কোনোওভাবে হংকং সার্ভার কর্তৃপক্ষ দখল করে নিলেও প্রোটন ভিপিএন ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত থাকবে।