চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা, আগামী দশ বছরেও বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে ভাবছেন না মানুষ, বলছে সমীক্ষা

সমগ্র পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের কারণে ছোট-বড় প্রতিটি দেশ যৌথভাবে এর মোকাবিলা করছে। প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি থেকে নির্গত দূষণকে যার জন্য মূলত দায়ী করা…

সমগ্র পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের কারণে ছোট-বড় প্রতিটি দেশ যৌথভাবে এর মোকাবিলা করছে। প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি থেকে নির্গত দূষণকে যার জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছে। আর তাই বিকল্প জ্বালানির গাড়ির দিকে ঝুঁকছে সকল দেশের সরকার। যার মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ ও চলাচলের খরচ সবথেকে কম হওয়ায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে এ কী অবাক করা তথ্য সামনে এল? এনএফইউ মিউচুয়াল (NFU Mutual) নামে এক বীমা সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখেছে ব্রিটেনের ৪৫% মানুষের পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়িটি বদলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই। যা স্বভাবতই চমকে দিয়েছে সংস্থাটিকে।

সম্প্রতি মোট ১,০০০ জন ব্রিটিশের উপর এই সমীক্ষা চালায় এনএফইউ মিউচুয়াল। যার মধ্যে ৫৮% মানুষ মনে করেন বৈদ্যুতিক যানবাহনের কম রেঞ্জের কারণে এগুলি এখনও ততটা সাড়া জাগাতে পারছে না। অন্যদিকে, অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনকে দায়ী করেছেন ৫৮% মানুষ। আবার ৪৪% সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বৈদ্যুতিক ব্যাটারি চার্জ হতে অত্যাধিক সময় লাগাকে দায়ী করেছেন।

তবে আশা জুগিয়েছে ২৯% ব্যক্তি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি ছেড়ে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আবার মাত্র ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আগামী ১০ বছরের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষের ইলেকট্রিক গাড়ির বদলে হাইব্রিড যানবাহনেই অধিক রুচি।

এদিকে লন্ডনে বসবাসকারী এমন ৪৭ শতাংশ মানুষের বক্তব্য অপ্রতুল চার্জিং স্টেশনের জন্যই বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনা উপযোগী হবে না। পূর্ব ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ৭০% মানুষ এই একই ধারণা পোষণ করেন। আবার ওয়েলস’এর ৬৮% ও উত্তর আইরিশের ৬৫% মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি না কেনার জন্য অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ৪৮%, পূর্ব ইংল্যান্ডের ৭২%, ওয়েলস-এর ৭০%, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ৬৯% এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৬৮% মানুষ গাড়ির কম রেঞ্জের কারণে বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রসার উল্লেখযোগ্য হারে না ঘটাছে না বলে মতামত প্রকাশ করেছেন।