বিপাকে Amazon-Flipkart, ই-কমার্স সাইটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল CCI
গত 3 ডিসেম্বর আদালতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, দেশের 24টি বিভিন্ন হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়েছে সিসিআই। এর মধ্যে দিল্লি, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে মামলা চলছে।
অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের ঝামেলা কিছুতেই থামছে না। এই দুই ই-কমার্স সংস্থা নতুন করে বিপাকে পড়লো। আসলে আজ সুপ্রিম কোর্টে এই দুই শপিং সাইটের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (সিসিআই)। উভয় সংস্থার বিরুদ্ধেই প্রতিযোগিতা বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে সিসিআই এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ট্রান্সফার পিটিশন দাখিল করে।
অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল
গত 3 ডিসেম্বর আদালতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, দেশের 24টি বিভিন্ন হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়েছে সিসিআই। এর মধ্যে দিল্লি, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই বিষয়ে কোনও বেঞ্চ গঠন করেনি।
উল্লেখ্য, 2020 সাল থেকে ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ নিয়ে মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় সিসিআই জানিয়েছে যে মামলাটি ইতিমধ্যে 4 বছর অতিক্রান্ত। তাই এবার তারা চূড়ান্ত আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
কেসটা কী?
সিসিআই 2020 সালের জানুয়ারিতে দুটি ই-কমার্স সংস্থা এবং অন্যান্য সহযোগী পক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা বিরোধী কৌশল অবলম্বন নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এই বিষয়ে ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন বলে যে, ই-কমার্স সংস্থাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগে রেখে নির্বাচিত সেলারদের অগ্রাধিকার দেয়। ফলে ভালো ব্যবসা করতে পারে না তুলনামূলক ছোট সেলাররা। দিল্লি ট্রেড ফেডারেশনের নেতৃত্বে ছোট ব্যবসায়ীদের একটি দল ইতিমধ্যেই ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত 3 ডিসেম্বর আদালতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, দেশের 24টি বিভিন্ন হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়েছে সিসিআই। এর মধ্যে দিল্লি, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে মামলা চলছে।