Apple & Samsung: ভারতীয়দের জন্য বড় খবর, এদেশে উৎপাদন আরও বাড়াচ্ছে স্যামসাং ও অ্যাপল

বিগত তিন বছর ধরে চীনের সাথে ভারত, আমেরিকার মতো প্রধান বাজারগুলির সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। এই কারণে চীনের কিছু কিছু প্রোডাক্ট এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপের…

বিগত তিন বছর ধরে চীনের সাথে ভারত, আমেরিকার মতো প্রধান বাজারগুলির সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। এই কারণে চীনের কিছু কিছু প্রোডাক্ট এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপের ওপর নেমে এসেছে বিধিনিষেধের খাঁড়া; বারবার চীনের ওপর নজরদারির অভিযোগও আনা হয়েছে। এদিকে অতিমারী পরিস্থিতি ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণেও প্রতিবেশী দেশটির অবস্থা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি সেখান থেকে নিজেদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছে। এমনকি ইতিমধ্যেই Apple, Samsung-এর মত নামজাদা (পড়ুন বড়) সংস্থা এই দেশে তাদের স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস ট্রান্সফার করার পদক্ষেপ নিয়েছে; ফলস্বরূপ ভারতের মাটিতেই তাদের বেশ কিছু স্মার্টফোন মডেল তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। তবে আজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই বিষয়ে আরও ইতিবাচক কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, Apple এবং Samsung-এর মতো টেক জায়ান্ট কোম্পানি এখন ভারতে স্মার্টফোনের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদনও বাড়াতে চাইছে।

জনপ্রিয় বৈদেশিক কোম্পানিগুলি চীন ব্যতীত এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং, রিসার্চ ইত্যাদি সরিয়ে নিচ্ছে বা ভারতের ওপর তাদের নজর বাড়ছে, এমন কথা এই কয়েকমাসে আমরা বহুবার শুনেছি। সেক্ষেত্রে স্যামসাং, অ্যাপলের সাম্প্রতিক পরিকল্পনায় আমাদের দেশ যে যারপরনাই উপকৃত হবে সেই আশাই প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রশেখর। শুধু তাই নয়, এতে ভারত একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে চীনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বলেও তাঁর অভিমত।

ইলেকট্রনিক্স তৈরিতে গুরুত্ব দেবে ভারত

চন্দ্রশেখর উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ স্মার্টফোন ব্যবসায় প্রাথমিক সাফল্য পাওয়ার পর এখন অন্যান্য ডিভাইস তৈরির ক্ষেত্রেও নিজের নাম প্রসারিত করতে চাইছে। এক্ষেত্রে ল্যাপটপ, সার্ভার, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের স্থানীয় উৎপাদনের প্রচারের জন্য ভারতের তরফে ২ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা চালু করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের কথা টেনে এনেছেন। তাঁর মতে এই কোম্পানিগুলি এখানে ব্যবসায়িক বৃদ্ধিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর সরকার সেই বিষয়টিকেই প্রশ্রয় দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।