Apple Car: একলা চলো নীতি গ্রহণ, এবার একাই বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাবে অ্যাপল

গাড়ির ব্যবসা সম্পূর্ণ আলাদা। এই ব্যবসায় অ্যাপল (Apple)-এর অভিজ্ঞতার ঝুলি শূণ্য। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে জল মাপার কাজ করছিলেন অ্যাপল কর্তারা; বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায়…

গাড়ির ব্যবসা সম্পূর্ণ আলাদা। এই ব্যবসায় অ্যাপল (Apple)-এর অভিজ্ঞতার ঝুলি শূণ্য। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে জল মাপার কাজ করছিলেন অ্যাপল কর্তারা; বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় কতটা সাফল্য আসে সেই নিয়ে। হালে উপযুক্ত সঙ্গী খোঁজা শুরু হয়েছিল। বিএমডব্লু (BMW), হুন্ডাই (Hyundai), নিসান (Nissan),-এর মতো তাবড় তাবড় সংস্থার নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু জোট বাঁধতে গিয়ে প্রতিবারই ধাক্কা খেয়েছে অ্যাপল। ভাবমুর্তিতে প্রভাব পড়ছিল! শেষমেষ একলা চলো নীতি নিচ্ছে অ্যাপল। অন্য সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, কারোর সহায়তা ছাড়াই এবার গাড়ি বানাবে আমেরিকার টেক জায়ান্টটি।

সংস্থা কিছু না বললেও Maeil Ecnomic daily তাদের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছে। আর সে কথা প্রকাশ্যে এনেছে ম্যাক রিউমারস। তারা জানাচ্ছে, গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের সন্ধান করছে অ্যাপল। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে যন্ত্রাংশের তথ্য ও দামের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে তারা।

শোনা যাচ্ছে, মার্সিডিজ (Mercedis)-এর দু’জন প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়োগ করেছে অ্যাপল। গাড়ির গণউৎপাদন, স্টিয়ারিং, ডাইনামিক্স, সফটওয়্যার, ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞ তারা। ঠিক এই কারণেই তাঁদের উপর ভরসা রাখছে কোম্পানি।

বর্তমানে অ্যাপলের এক বিশেষ প্রকল্পে (Apple Car) প্রোডাক্ট ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন ওই দু’জন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও অ্যাপল বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত, মিং-চি ক্যু (Ming-Chi Kuo)-র মতে ২০২৫-২৭ সালের আগে অ্যাপলের বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। একটি গবেষণাপত্রে তিনি আরও বলেছিলেন, অ্যাপল গাড়ির স্পেসিফিকেশন এখনও চূড়ান্ত করা বাকি। এর ফলে গাড়ির লঞ্চ ২০২৮ বা তার পরে পিছিয়ে দিলেও তিনি অবাক হবেন না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন