ভারত থেকে iPhone রপ্তানি হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকার! PLI স্কিমের দরুন ফুলে ফেঁপে উঠেছে Apple?
Apple iPhone: বিশ্বদরবারে ভারতকে তুলে ধরতে প্রায় দু বছর আগে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী...Apple iPhone: বিশ্বদরবারে ভারতকে তুলে ধরতে প্রায় দু বছর আগে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর অংশ হিসেবে তিনি দেশীয় স্তরে স্মার্টফোন তৈরির জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনিশিয়েটিভ (PLI) স্কিমের ঘোষণাও করেছিলেন। ইতিমধ্যেই এই স্কিমের সাহায্য পেয়ে দেশীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে এটির থেকে মার্কিন টেক জায়ান্ট Apple (অ্যাপল) সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আসলে ২০২২ অর্থবর্ষে সংস্থাটি ১০,০০০ কোটি টাকার আইফোন রপ্তানি চিহ্ন অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কোনো তৃতীয়পক্ষের সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার লিক নয় – বরঞ্চ Apple-এর এই কৃতিত্বে সম্পর্কে ভারতের উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইট করেছেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির PLI (পিএলআই) স্কিমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
দেশীয় চাহিদা মেটাতে সাহায্য করেছে Apple
চন্দ্রশেখরের মতে, ২০২২ সালের আর্থিক বছরে অ্যাপল দেশীয় চাহিদার প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মেটাতে কাজ করেছে। এদিকে এক বছর আগে, অ্যাপল দেশীয় উৎপাদনে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অবদান রেখেছিল। কিন্তু উইস্ট্রন এবং ফক্সকন অভ্যন্তরীণভাবে আইফোন উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ায় তারা দেশীয় চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছে। এছাড়াও পেগাট্রন কোম্পানিকে অ্যাপলের তৃতীয় প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যেটি পিএলআই স্কিমের অধীনে অন্তর্ভুক্ত। আগামী ১লা এপ্রিল থেকে এই প্রতিষ্ঠানেও উৎপাদন শুরু হবে।
এইসব আইফোন ভারত থেকে বেশি রপ্তানি হয়েছে
অ্যাপল, প্রায় দুই বছর আগে ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে আইফোন উৎপাদন শুরু করেছে। এক্ষেত্রে যে সমস্ত আইফোন মডেলগুলি ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে Apple iPhone SE 2020 স্মার্টফোন। এটি উইস্ট্রন প্রোডাকশন সেন্টারে তৈরি করা হচ্ছে। iPhone SE 2020-এর পরে, iPhone 11 এবং iPhone 12 স্মার্টফোনও বাইরের বাজারে ভালো পরিমাণে গেছে। এগুলি ফক্সকন কর্তৃক তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফক্সকন শীঘ্রই iPhone 13 মডেল তৈরি শুরু করতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার ২০২০ সালের এপ্রিলে স্মার্টফোনের জন্য তার পিএলআই স্কিম ঘোষণা করে। যদিও করোনা অতিমারী পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনাটি চালু করা যায়নি। এমতাবস্থায় সরকার এর মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পটি ভারতকে ফোনের রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এর সাহায্যে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। বলে রাখি, এই স্কিমের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মোট ৪০,৯৫১ কোটি টাকা খরচ করবে।