সদ্য লঞ্চ হওয়া Bajaj CT 125X নাকি বেস্ট সেলিং Honda Shine, গুণে কোন বাইক এগিয়ে? তুলনা দেখে নিন
গতকাল ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে ১২৫ সিসির কমিউটার মোটরসাইকেল Bajaj CT 125X। ৭১,৩৪৫ টাকা এক্স-শোরুম মূল্যের কারণে...গতকাল ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে ১২৫ সিসির কমিউটার মোটরসাইকেল Bajaj CT 125X। ৭১,৩৪৫ টাকা এক্স-শোরুম মূল্যের কারণে বর্তমানে উক্ত সেগমেন্টে সবচেয়ে কমদামি বাইকের তকমা আদায় করে নিয়েছে এটি। কিন্তু বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বজায় রাখা Honda Shine-এর সাথে কতখানি টক্কর নিতে সক্ষম এটি? এই প্রতিবেদনে তারই তুলনামূলক আলোচনা রইল।
Bajaj CT125X-এ রেট্রো স্টাইলের রাগেড লুক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গোলাকৃতি হেডলাইট, আন্ডারবডি ব্যাশ প্লেট এবং প্যাডেড নি রেসেস সহ পেশীবহুল ফুয়েল ট্যাঙ্ক তারই সাক্ষ্য বহন করে। অন্য দিকে, Honda Shine-এ অতি সাধারণ কমিউটার স্টাইলের ডিজাইন রয়েছে। সাদামাটা ডিজাইনের ফুয়েল ট্যাঙ্কের জন্য ইউনি-বডি ফিল মেলে এতে।
সদ্য লঞ্চ হওয়া CT125X-তে উপস্থিত একটি ১২৪.৪ সিসি এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১০.৯ পিএস শক্তি এবং ১১ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। এছাড়া সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। ফর্ক গেইটার সহ এসেছে এটি।
আবার, লোয়ার ভ্যারিয়েন্টের দুই চাকায় ড্রাম এবং হায়ার মডেলের সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, Honda Shine-এ আছে একটি ১২৩.৯৪ সিসি ইঞ্জিন, যা থেকে ১০.৭৪ পিএস শক্তি এবং ১১ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। এতেও রয়েছে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। সাসপেনশন ও ব্রেকিংয়ের বিকল্পও দুটি বাইকেই সমান।
Bajaj CT125X-এর ফিচারের তালিকায় রয়েছে একটি অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, একটি ইউএসবি চার্জিং পোর্ট এবং কাউলের উপর এলইডি ডিআরএল। Shine-এও আছে অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। তবে এতে অতিরিক্ত ফিচারের তালিকায় উপস্থিত ইঞ্জিন কিল সুইচ এবং সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ। Bajaj CT125X-এর চাইতে Shine-এর ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টের মূল্য বেশি, যা ৮১,৩৭৮ টাকা (এক্স-শোরুম)।