প্লাস্টিক সার্জারির কামাল, Bajaj Dominar বদলে গেল Suzuki Hayabusa সুপারবাইকে
এ যেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল’! আজ্ঞে হ্যাঁ, তেমনটাই করে দেখালো একটি বাইক মডিফিকেশন সংস্থা। কাস্টমাইজেশনের...এ যেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল’! আজ্ঞে হ্যাঁ, তেমনটাই করে দেখালো একটি বাইক মডিফিকেশন সংস্থা। কাস্টমাইজেশনের কেরামতিতে Bajaj Dominar 400-এর ভোল বদলে শেষ প্রজন্মের Suzuki Hayabusa-র রূপ দেওয়া হল। বাজাজের অতি সফল ও অনন্য একটি মডেল হল Dominar। যার জনপ্রিয়তার কাঁধে ভর করে সমগ্র বিশ্বে বাজাজের পরিচিতি, কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের দুনিয়ায় একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হল Suzuki Hayabusa। যা সাধারণত বিভিন্ন তারকারা কিনে থাকেন।
Bajaj Dominar 400-কে মডিফাই করে বানানো হল Suzuki Hayabusa
একটি ইউটিউবে চ্যানেল দ্বারা প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি স্বচ্ছ লাল রঙের ডমিনার-কে ব্যাপকভাবে মডিফাই করে সুপারবাইকে পরিণত করা হচ্ছে। সামনে থেকে ভালোভাবে এর হেডলাইট এবং তার ডিজাইন প্রত্যক্ষ করলে বুঝতে পারবে এটি আসলে একটি বাজাজ ডমিনার। হেডল্যাম্প ক্লাস্টারের চারিদিকে গ্রাফিক্স সহ বাইকটির উইন্ড ভাইজার এবং সাইড মিরর প্রিমিয়ামের অনুভূতি দেয়।
যদিও ভিডিওতে বাইকটির সাইড প্রোফাইলের দেখা মেলেনি। সে ক্ষেত্রে হয়তো কিছুটা পার্থক্য বোঝা যেত। অরিজিনাল সুজুকি হায়াবুসা-র সাইড প্যানেলটি হচ্ছে উঁচু, বৃহৎ এবং গোলাকৃতি। যা অন্যান্য সুপারবাইক থেকে এটিকে আলাদা করে। ডমিনার-কে হায়াবুসাতে পরিণত করতে এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেই অনুমান। যদিও যেটুকু ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা গেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
Suzuki Hayabusa রূপী Bajaj Dominar 400-র স্পেসিফিকেশন
Bajaj Dominar 400-তে দেওয়া হয়েছে একটি ৩৭৩ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ পিএস শক্তি এবং ৩৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত একটি ৬-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স এবং স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসাবে এতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপস্থিত।
Bajaj Dominar 400-এর হার্ডওয়্যার
বাইকটি একটি পেরিমিটার ফ্রেমের উপর ভর করে ছুটবে। সামনে রয়েছে ৪৩ মিমি কার্ট্রিজ ইনভার্টেড ফর্ক এবং পেছনে গ্যাস চার্জড মোনোশক অ্যাবজর্বার। ১৯৩ কেজি ওজনের বাইকটিতে উপস্থিত ১৩ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং ১৫৭ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। Dominar 400-র বর্তমান বাজারমূল্য ২.২৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।