Bajaj Pulsar 125 নাকি TVS Raider? কোন বাইক কিনলে আপনার পয়সা উসুল
সালটা ২০০১। ভারতের বুকে ঘটে গেল এক বিপ্লব। জন্ম নিল পালসার (Pulsar) সিরিজের প্রথম বাইক। নির্মাতা বাজাজ (Bajaj) সেদিন...সালটা ২০০১। ভারতের বুকে ঘটে গেল এক বিপ্লব। জন্ম নিল পালসার (Pulsar) সিরিজের প্রথম বাইক। নির্মাতা বাজাজ (Bajaj) সেদিন ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি যে একদিন এটিই পরিণত হবে তাদের বেস্ট সেলারে। আজ দীর্ঘ দূই দশক পেরিয়ে ভারতবর্ষ সহ সমগ্র বিশ্বের মোটরবাইকের ইতিহাসে এক আলাদা অধ্যায় রচনা করেছে বাজাজ পালসার। আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সময়ের সঙ্গে বদলেছে পালসার-এর খোল নলচে।
বর্তমানে ১২৫ সিসি থেকে শুরু করে ২৫০ সিসি পর্যন্ত মেলে বাজাজ পালসার।
এই লাইনআপের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে সস্তার ও জ্বালানি সাশ্রয়ী মডেল হল পালসার ১২৫। তবে তার এই জনপ্রিয়তাতে ভাগ বসাতে এক বছর আগেই হাজির হয়েছে আরেক দেশীয় সংস্থা টিভিএস-এর তৈরি রাইডার (Raider)। সম্প্রতি এর নতুন ভার্সনে যুক্ত হয়েছে কালার টিএফটি ডিসপ্লে এবং ব্লুটুথ ফিচার। ১২৫ সিসির বাইক হিসাবে কার দিকে পাল্লা ভারি? আজ তারই খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।
Bajaj Pulsar 125 vs TVS Raider: লুকস
পালসারের ১২৫ তার বড় সংস্করণ পালসার ১৫০-এর মতোই দেখতে। সামনে নেকড়ের চোখের মত হেডলাইট, পিছনে শার্প এলইডি টেল লাইট এবং বর্ধিত প্যানেলযুক্ত মাসকুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক এগুলো যেন পালসার-এর সিগনেচার লুক। আপাতদৃষ্টিতে আধুনিক ডিজাইনের মডেলগুলির মত মনে না হলেও এখনো পর্যন্ত শহরের রাস্তায় সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে পালসারের জুড়ি মেলা ভার।
অন্যদিকে অত্যাধুনিক ডিজাইন ও তরতাজা এক অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছে টিভিস রেডার। সামনে থাকা চোখের মত এলইডি ডিআরএল সহ এলইডি হেডলাইট, বেলী প্যান, বৃহদাকার ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও এলইডি টেললাইট যেন ছোট প্যাকেটে বড় ধামাকার মতো মনে হবে। এক কথায় বলা ভালো এর বহিরঙ্গের ডিজাইন দেখে কোনোভাবেই ১২৫ সিসির বাইক বলে ভাবা মুশকিল।
Bajaj Pulsar 125 vs TVS Raider: স্পেসিফিকেশন
পালসার ১২৫-তে চালিকাশক্তি যোগায় ১২৪.৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১১.৮ পিএস শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১০.৮ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এর। সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড ট্রান্সমিশন সিস্টেম। অপর হাতে থাকা তারুণ্যে ভরপুর রেডার ১২৫-এর ক্ষেত্রে তিন ভাল্ভ যুক্ত ১২৪.৮ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার/অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি থেকে ৭,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১১.৩৮ পিএস শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১১.২ এনএম টর্ক জেনারেট হয়। এটির ক্ষেত্রেও রয়েছে পাঁচ গতির যুক্ত গিয়ার বক্স।
Bajaj Pulsar 125 vs TVS Raider: ফিচার
আধুনিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখে টিভিএস রেডার বাজাজ পালসার-এর থেকে কয়েকশো গজ এগিয়ে। টিভিএস রাইডারে মিলবে ইউএসবি পোর্ট, ব্লুটুথ সংযোজন, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন, ঘড়ি, আন্ডার সিট স্টোরেজ এলইডি লাইটিং, ৫ ইঞ্চির টিএফটি ডিসপ্লে সহ আরো অনেক কিছু। অন্যদিকে পালসার ১২৫-এ আগের মতোই সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ও ট্যাকোমিটার চোখে পড়বে। পুরো বাইকটিতে টেললাইট ছাড়া আর কোনো জায়গাতেই এলইডি'র ব্যবহার করা হয়নি। তবে এতে ব্যাকলাইট সুইচ রয়েছে, যা বেশিরভাগ বাইকে পাওয়া যায় না।
Bajaj Pulsar 125 vs TVS Raider: দাম
বাজাজ পালসার ১২৫ বাইকটির বেস ভার্সনের মূল্য ৮১,৩৮৯ টাকা। টপ সংস্করণের ক্ষেত্রে যা ৯০,০০৩ টাকা। টিভিএস রেডারের এক্স শোরুম মূল্য ৮৫,৯৭৩ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯৯,৯৯০ টাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। পালসার-এর থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিভিএস রেডারে মিলবে অত্যাধুনিক ডিজাইন ও ফিচার্স। তবে বাজেট কম থাকলে পালসারই ভরসা।