Pulsar মডিফাই করে বানানো হল ক্রুজার বাইক, ভারতীয়র জুগাড় দেখলে তাজ্জব বনে যাবেন

বাইকপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রিয় বাহনকে কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে নতুন রূপ দিতে পছন্দ করেন। কাটাছেঁড়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই চেনার জো থাকে না। যেমনটা হল এক পালসারের…

বাইকপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রিয় বাহনকে কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে নতুন রূপ দিতে পছন্দ করেন। কাটাছেঁড়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই চেনার জো থাকে না। যেমনটা হল এক পালসারের ক্ষেত্রে। Bajaj Pulsar NS160-এর রূপ বদলে KTM RC সিরিজের ন্যায় বানিয়ে তুললেন একজন ইউটিউবার। স্ট্রিট বাইক থেকে ভোল বদলে বর্তমানে সে পুরোপুরি ক্রুজার। এখন দেখলে আদি রূপ সম্পর্কে ধারণা করা অসম্ভব।।

ওই ইউটিউবার তাঁর কাকার পালসার বাইক ব্যবহার করে এই কান্ড ঘটিয়েছেন। মডিফাই করতে ২০,০০০ টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। সময় লেখেছে চার মাস। অল্প সংখ্যক নতুন সরঞ্জাম কেনা ছাড়া, এতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র থেকে তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি ওয়েল্ডিং, কাটিং, ইনস্টলেশন সহ সমস্ত কাজ তিনি নিজে হাতেই করেছেন। যার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল কাস্টমাইজড বাইকটির হুইলবেস বাড়ানোর। প্রথমে তিনি বাইকটির সমস্ত যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা করেন। হুইলবেস বাড়াতে তিনি একটি সলিড আয়রন বার যোগ করেন। এরপর হ্যান্ডেল বার, সিটিং সেটআপ, ফুট রেস্ট, চেন সহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ ঢেলে সাজান তিনি। এমনকি হুইলবেস বাড়ানোর জন্য গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স অথবা শক্তির বিষয়ে আপস করা হয়নি।

স্পোর্টি লুক দিতে তিনি প্লাষ্টিক বডি প্যানেল এবং আকর্ষণীয় রেসিং স্টাইল গ্রাফিক্স যোগ করেছেন। সামনের অংশে রুপোলী এবং সাদা রঙ করা হয়। কমলা রঙের অ্যালয় হুইল নজরে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় বাইকটি তৈরির পর তিনি উঁচু-নিচু মেঠো পথে চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন। প্রায় সব পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয় ক্রুজাররূপী পালসার। তবে এই জাতীয় কাস্টমাইজড বাইককে আরটিআর অনুমোদন দেয় না। এমনকি পুলিশের চোখে পড়লে তা বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। বড় রাস্তার বদলে কেবলমাত্র কাছেপিঠে চালানোর জন্য উপযুক্ত সেটি।