পালসারপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর, Bajaj Pulsar সিরিজের তিন নতুন মডেল লঞ্চ হবে শীঘ্রই, জানুন বিস্তারিত
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আস্তে আস্তে অন্যান্য টু-হুইলার সংস্থাগুলির মতো ছন্দে ফিরছে বাজাজ। Pulsar সিরিজের জনপ্রিয়তাকে...করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আস্তে আস্তে অন্যান্য টু-হুইলার সংস্থাগুলির মতো ছন্দে ফিরছে বাজাজ। Pulsar সিরিজের জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে বিক্রি বাড়িয়ে নিচ্ছে তারা। উন্নত পারফরমেন্স, বিক্রি পরবর্তী পরিষেবা, রিফাইন্ড ইঞ্জিন ও আকর্ষণীয় লুকের জন্য Bajaj এর সুনাম। এই উন্নতির ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর তারা। একগুচ্ছ নতুন বাইকের উপর কাজ করছে সংস্থাটি। আগস্ট মাসে Pulsar N160 লঞ্চ করে চারিদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছিল তারা। এবার Pulsar সিরিজে আসতে চলেছে তাদের তিনটি নতুন বাইক। সব বাইক নির্মাতার কাছেই ১২৫ থেকে ১৫০ সিসি সেগমেন্ট অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়। আপকামিং তিন পালসারের ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট তার মধ্যেই থাকবে। দেখে নেওয়া যাক আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পালসার রেঞ্জে আগত নতুন বাইকগুলির খুঁটিনাটি।
Pulsar N125
Pulsar N সিরিজের সবচেয়ে সস্তা মোটরসাইকেল হতে চলেছে N125। স্বাভাবিকভাবেই ১২৫ সিসির TVS Raider এর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছে সে। কয়েকদিন আগেই এই মডেলটির ছবি রাস্তায় টেস্টিং করার সময় ধরা পড়ে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে N125। বাইকটির নাম থেকেই স্পষ্ট এটি ১২৫ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন সমৃদ্ধ একটি মোটরসাইকেল। এলইডি লাইট, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ আরো বেশ কিছু নতুন চমক নিয়ে হাজির হবে এটি।
Pulsar N150
Pulsar N150 প্রকৃতপক্ষে Pulsar N160 ও Pulsar N125 এর মধ্যেকার মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। এই বাইকটির ফ্রেম মূলত N160 এর উপরই গঠিত। এই মডেলটিকেও এদেশের আনাচে-কানাচে টেস্টিং করতে দেখা গিয়েছে। অবশ্যই এর শার্প ডিজাইন নজর কাড়ছে। যদিও বাইকটির ইঞ্জিন সম্পর্কে সঠিক তথ্য এখনো প্রকাশ পায়নি, তবে মনে করা হচ্ছে ১৫০ সিসি - ১৮০ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে এতে। নতুন এই মডেলটিতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক, মনোসক সাসপেনশন, এলইডি লাইটিং ও মোবাইলের সংযুক্তি সহ একগুচ্ছ আধুনিক বৈশিষ্ট্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
2022 Bajaj Pulsar 150:
Pulsar N সিরিজের বাইরেও একটি নতুন ১৫০ সিসির বাইক আনতে চলেছে বাজাজ। এটি সম্পূর্ণ নতুন প্লাটফর্ম এর উপর গঠিত। টেস্টিংয়ে ধরা পড়া ছবি থেকে স্পষ্ট এটি উন্নত ডিজাইন ও শক্তিশালী ইঞ্জিন নিয়ে অবতীর্ণ হতে চলেছে। যদিও ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্যগুলি অপরিবর্তিতই থাকছে। ১৪ পিএস ক্ষমতা ও ১৩.২৫ এনএম টর্ক যুক্ত ইঞ্জিনই এতে ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির অফিসিয়াল লঞ্চ খুব শীঘ্রই হতে চলেছে।