Loan Apps: ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে পান ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন, সেরা অ্যাপ দেখে নিন

আপনি যদি একটি নতুন বাড়ি বা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন অথবা ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন, তবে ক্যাপিটাল হিসাবে বা ডাউন পেমেন্টের জন্য আপনার…

আপনি যদি একটি নতুন বাড়ি বা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন অথবা ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন, তবে ক্যাপিটাল হিসাবে বা ডাউন পেমেন্টের জন্য আপনার হাতে বেশ কিছু টাকা থাকা দরকার। যদিও মধ্যবিত্তদের পক্ষে একসাথে অনেক টাকা জোগাড় করা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এমনটা হলেই ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার ভাবনা সর্বপ্রথম মাথায় আসে। কিন্তু লোন নিতে চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাশ করানোর ঝক্কি কতটা তা কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই জানি। তবে যদি বলি, স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি বাড়িতে বসেই লোন পেয়ে যেতে পারেন, তাহলে কি বিশ্বাস করবেন? আজ্ঞে না, কোনো রসিকতা নয়। সম্প্রতি এমন অনেক অ্যাপ লঞ্চ করা হচ্ছে, যা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন দেওয়ার দাবি করছে। এই অ্যাপগুলিতে লোন নেওয়ার প্রক্রিয়া অতিশয় সহজ এবং দ্রুত। এর জন্য আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এলিজিবিলিটি অনুযায়ী আপনি ঋণ পেয়ে যাবেন। আজ আমরা এমনি কয়েকটি ‘মানি লেন্ডিং’ অ্যাপের প্রসঙ্গে জানাবো আপনাদের। এই অ্যাপগুলি আপনারা গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

সেরা পার্সোনাল লোন প্রদানকারী অ্যাপ (Best Personal Loan Apps)

Dhani App: ধনী অ্যাপের নাম তো আপনারা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার শুনে ফেলেছেন নিশ্চয়। কারণ, হালফিলে এই অ্যাপটি ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা কম সময়ে স্বল্প পরিমানের টাকা ধার নিয়ে চান, তাদের এই ধনী অ্যাপ সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ প্রদান করে থাকে। লোন ছাড়াও, হেলথ ইন্সুরেন্স, ক্রেডিট কার্ড সহ আরো বহুবিধ সুবিধা পাওয়া যায় এখানে। এই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে ৩.৯ রেটিং পেয়েছে এবং ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে।

Navi App: নাভি অ্যাপও পূর্ববর্তী অ্যাপের ন্যায় একটি ইনস্ট্যান্ট লোন প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। এই অ্যাপটি প্রথমেই আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টকে ভ্যারিফাই করবে এবং তারপর এলিজিবিলিটি বা যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে ঋণ প্রদান করবে। অতএব, আপনার উপর নির্ভর করছে আপনি কত টাকা ধার নিতে পারবেন। যাইহোক, নাভি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে ৩.৮/৫ রেটিং পেয়েছে এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে।

Money View: মানি ভিউ অ্যাপে ইউজাররা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। যদিও এই পরিমান অর্থ পাওয়ার জন্য আপনার যোগ্যতা বা এলিজিবিলিটি খতিয়ে দেখা হবে। যদি আপনার সমস্ত পেপার ঠিকঠাক থাকে, তবে ঘরে বসে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই অর্থ পেয়ে যাবেন। এই টাকা সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করা হবে এবং আপনি কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

MoneyTap: উপরি উল্লেখিত সমস্ত অ্যাপগুলির মতো, মানিট্যাপ অ্যাপের মাধ্যমেও ‘পার্সোনাল’ ঋণ প্রদান করা হয়। ব্যাঙ্কের ঝুটঝামেলায় না পড়ে গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমেই লোন পেয়ে যান তার জন্য এটি লঞ্চ করা হয়েছে। এই অ্যাপে আপনারা খুব সহজ প্রক্রিয়ায় লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ৪.১ রেটিং পেয়েছে এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে।

(দ্রষ্টব্য: আমাদের উদ্দেশ্য এই ধরনের অ্যাপ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া। আপনি যদি এই অ্যাপগুলির মধ্যে কোনো একটি ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবেন, তবে প্রথমেই তাদের শর্তাবলী ভালভাবে পড়ুন। অনেক সময় এই সব অ্যাপে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না, তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন।)