DSLR এর দরকার নেই! জেনে নিন সেরা পাঁচটি ফটো এডিটিং অ্যাপের নাম

একটি ভাল মানের ছবি তোলার কথা মাথায় এলেই সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই ডিএসএলআর বা মিড রেঞ্জ বা ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল। কিন্তু শুধুমাত্র ডিএসএলআর বা উন্নত…

একটি ভাল মানের ছবি তোলার কথা মাথায় এলেই সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই ডিএসএলআর বা মিড রেঞ্জ বা ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল। কিন্তু শুধুমাত্র ডিএসএলআর বা উন্নত ক্যামেরার মোবাইল ব্যবহার করলেই যে ছবি গুলি সুন্দর হয়ে উঠবে এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তাই ছবিগুলির মাণ উন্নতির পাশাপাশি সেটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে, ফটো এডিটিং অ্যাপের প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। ঠিক এই কারনেই এখনকার প্রায় প্রত্যেকটি স্মার্টফোনই আপনি পেয়ে যাবেন কোম্পানির নিজস্ব ফটো এডিটিং টুল। তবে এই টুলগুলি আপনার মন ভরাতে না পারলেও সমস্যা নেই, কারণ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদেয় জন্য অ্যাপ স্টোরে বহু থার্ড পার্টি এডিটিং অ্যাপ উপলব্ধ, যেগুলি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। যদিও সব অ্যাপের সমান কার্যকারিতা নেই। তাই আসুন সেরা পাঁচটি ফটো এডিটিং অ্যাপের নাম জেনে নিই।

১. স্ন্যাপসিড(Snapseed)

ফটো এডিট করার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় অ্যাপগুলির মধ্যে স্ন্যাপসিড অন্যতম। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় অপারেটিং সিস্টেমে উপলব্ধ এই অ্যাপটি। এখানে আপনি ছবিতে খুব সহজেই যেমন বিভিন্ন ফিল্টারের ব্যবহার করতে পারবেন, তেমনি আবার কাস্টম টিউনিং, কারভিং, টোনাল কন্ট্রাস্ট, হোয়াইট ব্যালেন্সের মতো ফিচার গুলিকে ইচ্ছানুসারে ব্যবহার করে ছবিকে সুন্দর করে তুলতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি ফটো এডিটিং –এর ব্যাপারে আনকোরা হন তবে অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার সমস্যা হতে পারে।

২. ভিএসসিও (VSCO)

ভিএসসিও হল আরেকটি ফটো এডিটিং অ্যাপ যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ব্যবহারকারীই নিখরচায় ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আপনি প্রিসেট ফিল্টারের মতো ফিচার সহ ফটো্তে থাকা খুঁতগুলি সংশোধন করতে ও এডিটিং ফিচারগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য আনার জন্য একাধিক বিকল্প পাবেন। এমনকি এডিটিং -এর ক্ষেত্রে ছবির মাণ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য আপনি ডিভাইস থেকে সরাসরি RAW ফাইলগুলিও আমদানি করতে পারেন।

৩. প্রিজমা (Prisma)

প্রিজমা অ্যাপটির কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি আপনারা? কিছু বছর আগে ইউজারসদের মধ্যে অতি মাত্রায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই অ্যাপটি পুনরায় ফিরে এসেছে সকল অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের কাছে। এই অ্যাপটি অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় আলাদা হওয়ার কারন, এটি একটি সাধারণ ছবিকে স্কেচ বা পেইন্টিং –এ পরিণত করাতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে আপনি অনেক গুলি চমৎকার ফটো ফিল্টারও পেয়ে যাবেন অ্যাপটিতে।

৪. অ্যাডোব ফটোশপ লাইটরুম (Adobe Photoshop Lightroom)

ফটোগ্রাফারদের মধ্যে অধিক ব্যবহৃত অ্যাপ গুলির মধ্যে একটি হল অ্যাডোব ফটোশপ লাইটরুম। সাধারন মানুষের জন্য এই অ্যাপ্লিক্যাশনটি ব্যবহার করা কঠিন হলেও, এডিটিং –এ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির কাছে এই অ্যাপটি বিশেষ কার্যকারী হবে। ফটো এডিটিং এর জন্য বহু বিকল্পের সমন্বয়ে তৈরি এই অ্যাপটিতে আপনি পেয়ে যাবেন ছবির কালার ও ডেটেইলিং পরিবর্তনের জন্য কন্ট্রাস্ট, স্যাডো, লেভেল, ফিল্টারের মতো প্রয়োজনীয় ফিচারগুলি। আর আপনার যদি অ্যাডোব ক্রিয়েটিভ ক্লাউড সাবস্ক্রিপশন থাকে তাহলে, RAW ছবিগুলি আমদানি করার সুবিধে সহ আরও বেশকিছু এডিটিং বৈশিষ্ট্যও পেতে পারেন।

৫. পিক্সলার (Pixlr)

অনায়াসে ছবি এডিট করে ফেলার জন্য পিক্সলার অ্যাপটি যথেষ্ট সাহায্য করবে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের। এই ফটো এডিটিং অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। নৈমিত্তিক ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে অ্যাপটি তৈরি করার কারণে, এটি ব্যবহার করার পদ্ধতি খুবই সহজ। অতিরিক্ত পরিশ্রম না করেই আপনি এখানে তৈরি করে ফেলতে পারবেন সহজ, সরল তথাপি আধুনিক স্টাইলের সুনির্মিত অ্যানিমেশন। একটি প্রিমিয়াম সংস্করণ রয়েছে তবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে পাওয়া সংস্করটিতেই কাজ করতে পছন্দ করেন।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন