Jio, Airtel, Vi গ্রাহকরা সাবধান, KYC আপডেটের নামে চলছে প্রতারণা

বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতিতে যেভাবে ডিজিটাল বা ইন্টারনেট মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে – তার বিবরণ দেওয়া মোটেই সহজ নয় । কারণ এখন পড়াশোনা, অফিশিয়াল কাজ, কেনাকাটা…

বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতিতে যেভাবে ডিজিটাল বা ইন্টারনেট মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে – তার বিবরণ দেওয়া মোটেই সহজ নয় । কারণ এখন পড়াশোনা, অফিশিয়াল কাজ, কেনাকাটা এমনকি ব্যাঙ্কিং কাজের জন্যও ভরসা করতে হচ্ছে বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ওপর। কবে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে সে আশায় সকলেই দিন গুনছে। কিন্তু নিউটন সাহেবের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই চরম মহামারীতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতি বা স্ক্যাম জাতীয় কেলেঙ্কারীর সংখ্যা। যেমন সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, এবার ভারতের প্রাইভেট টেলিকম কোম্পানিগুলির (Airtel, Vi, Jio) গ্রাহকরা স্ক্যাম মেসেজ পাচ্ছেন। সেই ভুয়ো মেসেজে মূলত KYC (নো ইওর কাস্টমার) ভেরিফিকেশনের জন্য বলা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই Airtel-এর সিইও গোপাল ভিত্তল, সংস্থার গ্রাহকদের সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই ধরণের কেলেঙ্কারিতে হ্যাকাররা ইউজারদের থেকে ওটিপি নেওয়ার চেষ্টা করবে। এদিকে সিকিউরিটি রিসার্চাররা অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের ডেটা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা যে ধরণের মেসেজ পাচ্ছেন, তাতে বলা হচ্ছে ইউজারের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের নম্বরটির অ্যাক্সেস হারাবেন। এছাড়া এই মেসেজগুলিতে কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরও দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, Airtel, Vodafone-Idea (Vi) এমনকি Jio-র গ্রাহকরাও এই ধরনের ভুয়ো মেসেজ পাচ্ছেন।

এই বিষয়টি সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Twitter-এ অনেকেই স্ক্যাম মেসেজগুলি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই মেসেজগুলিতে বানান ভুল, ব্যাকরণগত ত্রুটি এবং সংস্থার নামের বানান ভুল থাকায় সহজে শনাক্ত করা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়াও ব্যবহারকারীদের খেয়াল রাখতে বলা হচ্ছে যে, টেলিকম সংস্থাগুলি প্রয়োজনে সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে কেওয়াইসি বিবরণ জিজ্ঞাসা করবে; তাই কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা বা নম্বরে কল না করাই শ্রেয়।

অন্যদিকে Airtel নিজেই গ্রাহকদের সতর্ক করে বার্তা পাঠাচ্ছে, যাতে লেখা আছে – এয়ারটেল কখনই কারো থেকে ই-কেওয়াইসি বিবরণ/আধার নম্বর চায়না, কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার জন্যও বলেনা। এমনকি সিমের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা নম্বর যাচাইয়ের প্রয়োজন হলেও এটি কোনো সন্দেহজনক মেসেজ করেনা। তাই এই জাতীয় কল/এসএমএস সম্পর্কে সবাইকে সাবধান থাকার অনুরোধ করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলকোটি।

শুধু তাই নয়, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ TRAI, ইউজারদের সতর্ক করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা টাওয়ার স্থাপনের জন্য কোনো NOC জারি করে না। তাই গ্রাহকদের এই জাতীয় বিষয়গুলিও মাথায় রাখা উচিত…

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন