BrakTooth: স্মার্টফোন ও উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা সাবধান! ব্লুটুথের কারণে অকেজো হতে পারে ডিভাইস

সময়ের সাথে মোবাইল ফোনে অনেক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে এগুলিতে বছরের পর বছর ধরে একইভাবে বিদ্যমান রয়েছে ব্লুটুথ (Bluetooth)। মোবাইলের পাশাপাশি কম্পিউটার…

সময়ের সাথে মোবাইল ফোনে অনেক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে এগুলিতে বছরের পর বছর ধরে একইভাবে বিদ্যমান রয়েছে ব্লুটুথ (Bluetooth)। মোবাইলের পাশাপাশি কম্পিউটার বা ল্যাপটপেও এই প্রযুক্তিটি বেশ প্রচলিত। কিন্তু এই বহুল ব্যবহৃত সংযোগ মাধ্যমের কারণেই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন (Android Smartphone) এবং উইন্ডোজ ১০ (Windows 10) ডিভাইসের ইউজাররা অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন বলে মনে হচ্ছে। আসলে সম্প্রতি, অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ ওএসে উপলব্ধ ব্লুটুথ অপশনে একটি দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। আর এই ত্রুটিটি, ডিভাইসের মাইক্রোপ্রসেসরে স্থায়ীভাবে থেকে এক বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসকে প্রভাবিত করেছে (পড়ুন অকেজো করেছে) বলে দাবি করা হচ্ছে। জানিয়ে রাখি, সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণাপত্রে এই আশঙ্কার কথা ধরা পড়েছে এবং সেখানে এই ধরনের মোট ১৬টি দুর্বলতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুর্বলতাগুলিকে সম্মিলিতভাবে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্র্যাকটুথ’ (BrakTooth)।

BrakTooth বাগের কবলে Bluetooth ডিভাইস

উক্ত গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে, সামনে আসা ব্লুটুথের নিরাপত্তা ত্রুটিটি স্মার্টফোন বা পিসির একটি বিস্তৃত পরিসরকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ডিভাইসের সাথে হেডফোন, স্পিকার, মাউস, কীবোর্ড ইত্যাদি যেসব বাহ্যিক আনুষাঙ্গিক ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযোগ করা হয় সেগুলি কার্যত অকেজো হয়ে পড়তে পারে। অবাক করার ব্যাপার এটাই যে, কোয়ালকম, ইন্টেল এবং টেক্সাসের মত বড় প্রযুক্তি সংস্থার ইন্সট্রুমেন্ট বা মাইক্রোচিপগুলিতে বাগটি পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই বিশ্ববাজারের প্রমাণ সংখ্যক ডিভাইসে উল্লিখিত অসুবিধা হতে পারে – এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না!

উল্লেখ্য, এই বাগ সম্পর্কে জানতে গিয়ে গবেষকরা বড় ব্র্যান্ডসহ মোট ১১টি রিটেলারের কাছ থেকে ১৩টি চিপ নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে, ডিভাইসের ধরন এবং সেটিতে ব্যবহার করা চিপসেটের ওপর ভিত্তি করেই ব্র্যাকটুথ সেই ডিভাইসের ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া কিছু ডিভাইসের ব্র্যাকটুথের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম হলেও, ত্রুটিযুক্ত চিপসেটে ব্লুটুথ সক্রিয় থাকলে এটি হ্যাকিং আক্রমণ বা ম্যালওয়ার প্রবেশের রাস্তা করে দেয় বলেও তাঁরা অনুমান করেছেন। তাই আপাতত স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ ইউজারদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে প্রয়োজন ছাড়া ব্লুটুথ সব সময় চালু না রাখেন।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে কোয়ালকম, ইন্টেল জাতীয় সংস্থাগুলি ব্লুটুথের বাগ অর্থাৎ ব্র্যাকটুথ সম্পর্কে অবগত নয়? সেক্ষেত্রে বলি, গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই দুর্বলতা দ্বারা প্রভাবিত পণ্যগুলির রিটেলারদের কয়েক মাস আগেই সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে তারা কোনো উত্তর দেয়নি; সময় অতিবাহিত হওয়ায়, এখন গোটা বিষয়টি সবার সামনে আনা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন