বাতাসে দূষিত গ্যাস মিশে যাওয়া রুখতে মলমূত্র থেকে তৈরি রং গাড়িতে ব্যবহার করবে BMW

দূষণহীন পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে  গোটা বিশ্ব। বায়ু দূষণের প্রধান অংশীদার জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত মডেল আনার কাজে নিমগ্ন বিশ্বের প্রথম…

দূষণহীন পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে  গোটা বিশ্ব। বায়ু দূষণের প্রধান অংশীদার জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত মডেল আনার কাজে নিমগ্ন বিশ্বের প্রথম সারির গাড়ি নির্মাতারা। এর পাশাপাশি গাড়ি শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবর্ত হিসাবে এমন কোনো উপকরণ তারা ব্যবহার করতে চাইছে পরিবেশের উপর যাদের কুপ্রভাব থাকবে কম। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একা বা যৌথ উদ্যোগে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় গাড়ির প্রতিষ্ঠানগুলি।

এবার তাদের থেকে এক কদম এগিয়ে সবাইকে তাজ্জব করে নতুন উদ্ভাবনের কথা জানাল জার্মানির প্রখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউ (BMW)। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা এক ধরনের পেইন্টের উপর কাজ করছে যা জৈব বর্জ্য বা নর্দমার মলমূত্রযুক্ত জল পরিশোধনের প্লান্ট থেকে নেওয়া বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে। এ জন্য তারা হাত মিলিয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী বিএএসএফ (BASF) এর সাথে। তবে এখনো পর্যন্ত এটা নিশ্চিত করা যায়নি যে তারা কী রং তৈরি করছে এবং কোন মডেলে সেটি প্রথম ব্যবহৃত হবে।

বর্তমানে গাড়ির উপর যে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয় তা মূলত পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য থেকে তৈরি হয়। জৈব বর্জ্য থেকে পাওয়া কাঁচামালকে কাজে লাগিয়ে চিরাচরিত এই ব্যবস্থাকে বদলে ফেলাই বিএমডব্লিউ ও বিএসএফ-এর উদ্দেশ্য। নতুন এই উদ্যোগের ফলে শুধুমাত্র যে জীবাশ্ম সম্পদের ব্যবহার কমবে তাই-ই নয়, এর পাশাপাশি অপরিশোধিত তেল থেকে এই সমস্ত পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য তৈরি করার ফলে যে সমস্ত ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হয় তার পরিমাণও কমাবে।

সংস্থার দাবি, ওই ধরনের বর্জ্য থেকে প্রস্তুত রং সাধারণ রঙের মতো ক্ষয়ের থেকে সুরক্ষা যোগাবে। উপরন্তু এর ফলে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাসের মেশা ৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। যেটুকু খবর, নতুন ধরনের এই রং বিএমডব্লিউ প্রথমে তাদের জার্মানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার কারখানায় পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করবে।