BSNL 5G: ৪জি নয়, বিএসএনএল গ্রাহকরা চাইছে ৫জি প্রযুক্তি, কিন্তু...
খুব তাড়াতাড়ি দেশীয় বাজারে নিজেদের 4G পরিষেবা লঞ্চ করতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা সংক্ষেপে...খুব তাড়াতাড়ি দেশীয় বাজারে নিজেদের 4G পরিষেবা লঞ্চ করতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা সংক্ষেপে বিএসএনএল (BSNL)। এজন্য বর্তমানে তারা কেন্দ্রীয় সি-ডট (C-DoT) এবং টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএসের (TCS) সঙ্গে যৌথভাবে ট্রায়ালের কাজ চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে যে আগামী আগস্ট মাস (২০২২) থেকেই আগ্রহীরা BSNL -এর স্বদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল 4G পরিষেবা ব্যবহারে সক্ষম হবেন।
এহেন পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে যে 4G নেটওয়ার্ক লঞ্চের পরে বিএসএনএল 5G পরিষেবার সূচনায় খুব বেশি দেরী করবে না। সে কাজে সাফল্য পেতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি তাদের 4G কোর এবং 5G নন স্ট্যান্ডঅ্যালোন আর্কিটেকচার (5G NSA) প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এবিষয়ে অনেকের অভিমত, 4G ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ টপকে গিয়ে বিএসএনএল 5G স্ট্যান্ডঅ্যালোন আর্কিটেকচার বা 5G SA প্রযুক্তি ব্যবহার করুক। তবে ঠিক কি কারণে সেটা সম্ভব নয় তা আমরা নীচে আলোচনা করবো।
5G SA প্রযুক্তি স্থাপনে বাধা অপেক্ষাকৃত বেশি খরচ
5G SA প্রযুক্তি স্থাপনে বিএসএনএলের পক্ষে প্রধান বাধা এর অত্যাধিক খরচ। এমনিতে 4G পরিষেবা চালু করতে গিয়েই সংস্থাটি অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছে। সেক্ষেত্রে 5G স্ট্যান্ডঅ্যালোন প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগানো সংস্থার জন্য বাস্তবিক পক্ষেই অসুবিধাজনক।
উল্লেখ্য, 5G স্ট্যানঅ্যালোন প্রযুক্তি যোগাযোগ পরিষেবা সরবরাহকারীদের (CSP) উন্নত এন্টারপ্রাইজ সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সহায়তা করবে। এই পরিষেবার ল্যাটেন্সিও অত্যন্ত কম। তবে 5G NSA প্রযুক্তির তুলনায় এর সংস্থাপনে যে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থের দরকার হবে সেই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
অবশ্য সার্বিকভাবে দেখতে গেলে 5G স্ট্যান্ডঅ্যালোন এবং নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোন উভয় প্রযুক্তি স্থাপনের আগে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএনএলকে তাদের 4G পরিষেবা সরবরাহের ধারা সচল রাখতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংস্থাটি এই ব্যাপারে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে।
4G নেটওয়ার্ক রোলআউটের ফলে লাভবান হবে BSNL
ঠিক কবে নাগাদ বিএসএনএলের 5G পরিষেবা সামনে আসবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আপাতত সারা দেশে উন্নত মানের 4G পরিষেবা সরবরাহের মধ্যে দিয়ে বিএসএনএল যথেষ্ট লাভবান হতে পারে। কারণ বর্তমানে দেশে 4G ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া ক্রমাগত ট্যারিফ মূল্য বৃদ্ধির ফলে 4G গ্রাহকেরা বর্তমানে Reliance Jio, Airtel এবং Vi -এর মতো বেসরকারি টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলির পরিষেবা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে 4G পরিষেবা লঞ্চের দ্বারা বিএসএনএল পুরনো গ্রাহক ভিত্তি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। তবে সেক্ষেত্রে সংস্থার সাফল্য পর্যবেক্ষণ করতে হলে আমাদের আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।