Jio, Airtel কে পিছনে ফেলে ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় সবার সেরা BSNL

4G নেটওয়ার্কের অনুপস্থিতিতে ওয়্যারলেস (Wireless) পরিষেবার জগতে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও, ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবা প্রদানে বিএসএনএল (BSNL) এখন মুকুটহীন সম্রাট! একদম ঠিক পড়ছেন, কারণ…

4G নেটওয়ার্কের অনুপস্থিতিতে ওয়্যারলেস (Wireless) পরিষেবার জগতে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও, ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবা প্রদানে বিএসএনএল (BSNL) এখন মুকুটহীন সম্রাট! একদম ঠিক পড়ছেন, কারণ আমরা নই, বরং TRAI -এর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকেই একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আসলে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী BSNL ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবার ২৫.৬৩ শতাংশ বাজার শেয়ার নিজেদের পকেটে পুরেছে। এই মুহূর্তে তাদের ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবার আওতায় রয়েছেন প্রায় ৬.০৩ মিলিয়ন গ্রাহক। আপাতত প্রতি মাসে BSNL এক লক্ষ ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করছে বলে TRAI তাদের সাম্প্রতিক হিসেবে জানিয়েছে।

চলতি বছরের জুন ত্রৈমাসিকের আগের ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে ট্রাইয়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তৈরী হয়েছে। এতে প্রদত্ত হিসেব অনুযায়ী, আপাতত ভারতে প্রায় ৭৯২.৭৮ মিলিয়ন ব্রডব্যান্ড গ্রাহক বর্তমান রয়েছেন। এই বিরাট সংখ্যার মধ্যে মাত্র ২৩.৫২ মিলিয়ন মানুষ ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড কানেকশনের উপরে নির্ভরশীল!

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে ভারতের বাজারে ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড কানেকশনের চাহিদা খুব একটা বেশি নয়। তবে এটিই একমাত্র পরিসর যেখানে বিএসএনএল বেসরকারি Reliance Jio, Airtel, Vi -এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা দরকার, বিএসএনএলের পরে দেশে সর্বোচ্চ ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড গ্রাহক এয়ারটেলের অধীনে রয়েছেন। যাদের দখলে রয়েছে ৩.৩৭ মিলিয়ন গ্রাহক। অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার আওতায় এর প্রায় দ্বিগুণ গ্রাহক মজুত রয়েছে।

ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবার চাহিদার জন্য আমরা বিএসএনএলের বাণিজ্যিক নীতির সফলতার কথা বলতে পারি। অন্যান্য টেলিকম গোষ্ঠীগুলির মতো সর্বোচ্চ লাভের হিসেব না করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি গ্রাহকের দরকার পূরণে সচেষ্ট হয়। খুব সামান্য দামে তাদের FTTH প্ল্যানগুলি ফাটাফাটি ওটিটি (OTT) সুবিধা, ৩.৩ টিবি (TB) ডেটা এবং দীর্ঘ ভ্যালিডিটি ভোগের সুযোগ দেয়। আর এই সমস্ত কারণেই BSNL ওয়্যারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবার এক চতুর্থাংশ বাজার দখল করেছে বলে টেলিকম বিশেষজ্ঞদের ধারণা।