সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে Jio, Airtel কে, সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ BSNL এর
সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের জেরে বিক্ষোভ বাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলকো ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল (BSNL) -এর অন্দরে।...সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের জেরে বিক্ষোভ বাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলকো ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল (BSNL) -এর অন্দরে। কারণ তুলনামূলক ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও তাদের বাদ দিয়ে বেসরকারি Reliance Jio, Airtel প্রমুখেরাই সরকারি তহবিলের মদতপুষ্ট একের পর এক ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রোগ্রাম পরিচালনার বরাত পাচ্ছে। যদিও এহেন ঘটনা যে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের সম্পূর্ণ পরিপন্থী তা রাষ্ট্রীয় BSNL -এর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে জানানো হয়েছে।
দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজে সফল BSNL
সংবাদ সংস্থা ET Telecom -এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএনএলের চেয়ারম্যান পি কে পূর্বার বর্তমান টেলিকম সেক্রেটারি কে রামারাজনকে লেখা একটি চিঠিতে জানিয়েছেন যে, দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে মোবাইল কানেক্টিভিটির প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে এযাবৎ তার সংস্থা (BSNL) প্রায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশের অগণিত গ্রাম্য এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজে সরকারের উচিত বিএসএনএলের উপরে ভরসা করা।
টেলিকম সেক্রেটারির উদ্দেশ্যে প্রেরিত চিঠিতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলকোর চেয়ারম্যান আরো জানান, সরকারের তরফ থেকে কোনো কানেক্টিভিটি প্রোগ্রামের বরাত পেলে সেটি গ্রহণের ২৪ মাসের মধ্যেই বিএসএনএল তা সম্পূর্ণ করে দেখাবে। অর্থাৎ বর্তমানে যে কোনো মূল্যে বিএসএনএল সরকারি সাহায্যে চালিত মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজে নামতে চাইছে।
অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, এই মুহূর্তে বিএসএনএল তাদের 4G ট্রায়ালের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করে এনেছে। এক্ষেত্রে তারা স্বনামধন্য টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS) এবং সি-ডট (C-DoT) অর্থাৎ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিম্যাটিক্সের সাহায্য পেয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাস নাগাদ সংস্থাটি দেশে তাদের 4G পরিষেবা লঞ্চ করতে পারে।
BSNL -কে টপকে সরকারি প্রকল্পের ভার পাচ্ছে বেসরকারি Airtel, Jio
উল্লেখ্য, বিএসএনএলের প্রতি সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ তাদের বেশ কিছু সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ফুটে উঠেছে। একথা হয়তো অনেকেই জানেন যে অতিবাম সক্রিয়তা পূর্ণ ভারতের একটি বড় অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাপনের কাজে রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল দারুণভাবে সফল। অথচ গত বছর সরকারের LWE-II (Left Wing Extremism-II) প্রকল্পে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বরাত পেয়েছে বেসরকারি ভারতী এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও। শুধু তাই নয় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোবাইল কানেক্টিভিটি প্রসারের সুযোগও বিএসএনএলের বদলে উপরোক্ত দুই টেলকোকে দেওয়া হয়েছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি পদাধিকারীর বক্তব্য, ইউনিভার্সাল সার্ভিস অব্লিগেশন ফান্ড বা ইউএসওএফ (USOF) -এর অধীন সমস্ত টেলিকম কানেক্টিভিটি প্রকল্প পরিচালনার ভার পাচ্ছে বেসরকারি টেলকোগুলি। সেখানে BSNL -এর প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য! অথচ বেসরকারি টেলকোরা সাধারণত বিদেশের বাজার থেকে গিয়ার কিনে মোবাইল সংযোগ প্রসারে উদ্যোগী হয়। এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের সম্পূর্ণ বিরোধী বলেও তিনি জানান।