ভারত ছাড়ছে টিকটক, প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছেই বিক্রি করে দিচ্ছে সমস্ত প্রযুক্তি

ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে ভারতীয় টিকটক (TikTok) প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। খুব তাড়াতাড়ি ভারত থেকে পাততাড়ি গোটানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে বাইটডান্সের (ByteDance) মালিকানাধীন চীনা সংস্থাটি। ব্লুমবার্গ নিউজে…

ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে ভারতীয় টিকটক (TikTok) প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। খুব তাড়াতাড়ি ভারত থেকে পাততাড়ি গোটানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে বাইটডান্সের (ByteDance) মালিকানাধীন চীনা সংস্থাটি। ব্লুমবার্গ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে টিকটকের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত প্রযুক্তিকে বাইটডান্স , টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা গ্লান্সের (Glance) হাতে তুলে দিতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে কথাবার্তা আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পুরো ব্যাপারটির প্রধান উদ্যোগী হিসেবে সফ্টব্যাঙ্ক গ্রুপ কর্প (SoftBank Group Corp.) সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গিয়েছে।

অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, গ্লান্সের অধিকর্তা সংস্থা হিসেবে যে মোবাইল অ্যাডভার্টাইজিং টেকনোলজি ফার্মটির কথা উঠে আসে তার নাম – ইনমোবি (InMobi)। এদেরই মালিকানাধীন আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন হলো রোপোসো (Roposo)। ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে এই শর্ট-ভিডিও অ্যাপ্লিকেশনটির চাহিদা বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সফ্টব্যাঙ্ক গ্রুপকে মধ্যস্থতাকারী স্থির করে বাইটডান্স এবং ইনমোবি দুটি কোম্পানিই একটি ব্যবসায়িক সমঝোতায় আসতে চাইছেন। উল্লেখ্য, জাপানের এই বহুজাতিক সংস্থা সফ্টব্যাঙ্ক গ্রুপ চীনা বাইটডান্সের পাশাপাশি ইনমোবিরও অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।

গতবছরের জুলাই মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাছাড়া ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও সেগুলিকে দেশের বাইরে পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগে আরো একাধিক চীনা অ্যাপ্লিকেশন সরকারের রোষের মুখে পড়ে। সম্প্রতি চীনা অ্যাপগুলির ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র বহাল রেখেছে। ফলে কালবিলম্ব না করেই TikTok ভারত থেকে তাদের ব্যবসা গোটাতে আগ্রহী।

উপরের খবরের সত্যতার সবথেকে বড় নিদর্শন হিসেবে গত মাসে ByteDance ভারতে তাদের ২০০০ জনের অধিক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। তাছাড়া কোম্পানির একটি মেমোতে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে ভারতে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তারা আর ভাবছেন না।

ব্লুমবার্গ নিউজের খবর সত্যি হলে ভারতে টিকটকের প্রযুক্তিকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ইউজারের যাবতীয় তথ্য কতটা সুরক্ষিত থাকছে সেই ব্যাপারটিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন