আর রেকর্ড করা যাবে না ভয়েস কল, Android স্মার্টফোনের জন্য নয়া নিয়ম চালু করল Google
বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন অ্যান্ড্রয়েড (Android) স্মার্টফোন বাজারে আসছে, আর সেইসাথে...বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন অ্যান্ড্রয়েড (Android) স্মার্টফোন বাজারে আসছে, আর সেইসাথে ক্রমশ বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। আর অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন মানেই তাতে রয়েছে হরেকরকম অ্যাপের সমাহার, যে কারণে গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store)-এও প্রায়শই নতুন নতুন অ্যাপের আবির্ভাব ঘটছে। তবে অনেকসময় কিছু অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউজারদের সিকিউরিটি ইস্যুর বিষয়টি সামনে আসে, আর এই কারণে গুগল (Google) মাঝে মাঝেই তার পলিসিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করে থাকে। তবে এবার ইউজারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আজ, অর্থাৎ ১১ মে থেকে কল রেকর্ডিং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে সংস্থাটি।
সোজা কথায় বললে, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে আর থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা যাবে না ভয়েস কল; কেননা সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে যেকোনো কল রেকর্ডিং অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে গুগল। তাই, কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যদি ইন-বিল্ট কল রেকর্ডিং ফিচার না থাকে, তাহলে আর অন্য কোনো কল রেকর্ডিং অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস কল রেকর্ড করে রাখা যাবে না। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় চর্চা চলছিল। এরপর আজ সংস্থার সিদ্ধান্ত পাকাপাকিভাবে কার্যকর হল।
সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গুগল কল রেকর্ডিংয়ের জন্য এপিআই (API) বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের গ্রহণযোগ্যতা খারিজ করতে চলেছে। এর অর্থ হল, যেকোনো থার্ড পার্টি অ্যাপই এখন তাদের কার্যক্ষমতা হারাবে। ফলে এবার থেকে আর কোনো থার্ড পার্টি রেকর্ডিং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কল রেকর্ড করতে পারা যাবে না৷ উল্লেখ্য, গুগলের এই নয়া নিয়মের কারণে ট্রুকলার (Truecaller)-ও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, এই অ্যাপে এখন আর কল রেকর্ডিংয়ের সুবিধা পাবেন না ইউজাররা।
কিন্তু হঠাৎ করে এই নয়া নিয়ম চালু করার পিছনে মূল কারণটি কী? সেক্ষেত্রে Google-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, মূলত ইউজারদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই কল রেকর্ডিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আসলে এই ধরনের অ্যাপগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের পারমিশন আদায় করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে এবং পরবর্তীকালে সেগুলির অপব্যবহারও করে থাকে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, কল রেকর্ডিং সংক্রান্ত আইনও প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে আলাদা; আবার অনেক দেশেই কল রেকর্ডিংয়ের মতো ঘটনাকে আইনবিরুদ্ধ বলে মনে করা হয়। তাই সবদিক বিচার-বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে Google।