সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটান? সরকারের এই নয়া নিয়ম না মানলে কিন্তু দিতে হবে ৫০ লাখের জরিমানা
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দিনে অন্তত ৫ মিনিট সময় কাটাননা, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আজকালকার সময়ে অনেকটাই ব্যতিক্রমী...সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দিনে অন্তত ৫ মিনিট সময় কাটাননা, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আজকালকার সময়ে অনেকটাই ব্যতিক্রমী ব্যাপার। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আট থেকে আশি – মানে প্রায় সকলেই WhatsApp, Facebook, Twitter ইত্যাদি নেটপাড়ার বেশ সক্রিয় বাসিন্দা হয়ে উঠেছেন। হাতে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেই ব্যস, গল্প শেষ! সেক্ষেত্রে আপনিও যদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন, তাহলে কিন্তু এখন আপনার কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত, অন্যথায় হতে পারে ৫০ লাখ টাকার জরিমানা। হ্যাঁ ঠিকই বলছি। বিশেষ করে আপনি যদি Instagram বা YouTube-এ যেকোনো ধরনের কন্টেন্ট বানানোর কাজ করেন, তাহলে তো আপনাকে এই প্রতিবেদন পুরোটা পড়তেই হবে।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, গত কয়েক বছরে সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটি এবং রিপোর্টারের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া তারকাদের ইনস্টাগ্রাম (Instagram), ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব (YouTube)-এ প্রচুর সংখ্যক ফলোয়ার্স থাকছে এবং তাঁরা এই ফলোয়ারদের সহায়তায় পেইড কন্টেন্ট প্রচারের কাজ করছেন। এমত পরিস্থিতিতে এই ধরণের ডিজিটাল ক্রিয়েটরদের যথেচ্ছাচার নিয়ন্ত্রণ করতেই মোদী সরকার নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছে।
কী বলা হয়েছে সরকারের নতুন নিয়মে?
কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক দফতর কর্তৃক জারি হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালীরা যে নেটমাধ্যমে পেইড কনটেন্ট পোস্ট করছেন তা আদতে নিয়মের লঙ্ঘন। তাই এখন থেকে যারা ইচ্ছামত এই কাজ করবেন, তাদের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর বা ভুলভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে পেইড কন্টেন্ট প্রচার করলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা নেওয়া হবে। যেখানে উল্লিখিত কেন্দ্রীয় বিভাগের নির্দিষ্ট নিয়ম লঙ্ঘন করলে দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত খেসারত। শুধু তাই নয়, গ্রাহকরা যাতে এইসব পোস্টে বিভ্রান্ত না হন তার জন্য ক্রিয়েটরদের বিশেষ ডিসক্লেইমার প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামের নিজস্ব ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট অপশন রয়েছে যার মাধ্যমে ইউজাররা পেইড আর্টিকেল চালাতে পারেন। একইভাবে ইউটিউব, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেও পেইড কন্টেন্টের বিকল্প পাওয়া যায়।