ভারতকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে হ্যাকারদের লেলিয়ে দিচ্ছে চীন? সতর্ক করলো সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্ম

বিগত কয়েক মাস ধরে খবরে চীনের নাম উঠে আসছে বারবার। কখনো বিশ্বে করোনা ছড়ানোর জন্য তো কখনো সীমান্তে ভারতের সাথে লড়াইয়ের জন্য সারাবিশ্বের চক্ষুশূলে পরিণত…

বিগত কয়েক মাস ধরে খবরে চীনের নাম উঠে আসছে বারবার। কখনো বিশ্বে করোনা ছড়ানোর জন্য তো কখনো সীমান্তে ভারতের সাথে লড়াইয়ের জন্য সারাবিশ্বের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে চীন। তবে এবার হ্যাকারদের কারণে চীন আবারও শিরোনামে উঠে আসলো। জানা গেছে চীনা হ্যাকাররা ভারতকে টার্গেট করছে। সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টির পরেই এই আশঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে। সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্ম Cyfirma-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা হ্যাকাররা ভারতের কমিউনিটি ফার্ম থেকে শুরু করে টেলিকম, মিডিয়া এবং কয়েকটি সরকারী ওয়েবসাইটকে আক্রমণ করতে পারে।

মিডিয়া সংস্থা মানি কন্ট্রোলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাইফারমা’র প্রতিষ্ঠাতা কুমার রিতেশ বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতির উত্তেজনার পর ভারতকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহ থেকে চীনা হ্যাকিং গ্রুপ এবং কমিউনিটি আলোচনা শুরু করেছে। ভারতীয় রিসার্চাররা দেখেছেন যে এই হ্যাকিং গোষ্ঠীগুলি স্মার্টফোন থেকে শুরু করে কনস্ট্রাকশন এবং টায়ার সংস্থা, ভারত সরকার, মিডিয়া, টেলিযোগাযোগ সংস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে কথা বলেছে।

অনেক বড় সংস্থা রয়েছে এই হ্যাকিং তালিকায় :

রিতেশ আরো বলেছেন, ডার্ক ওয়েবে ঘুরে বেড়ানো ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে অনেক বড় সংস্থার নাম এই ‘টার্গেট লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতের বড় বড় মিডিয়া সংস্থাগুলি (Times of India, Republic TV, NDTV, Hindustan Times, Aaj Tak ইত্যাদি) ছাড়াও টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল, Bsnl-এর নামও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রয়েছে সিপলা ও সান ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ সংস্থাগুলির নামও। ভারতীয় ফোন নির্মাতা মাইক্রোম্যাক্স এবং ইনট্যাক্ট টেকনোলজি ছাড়াও এমআরএফ এবং অ্যাপোলো টায়ারের নামও এই তালিকায় রয়েছে।

হ্যাকাররা চাইছে ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটগুলিকে এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে পরিণত করতে। প্রায় ৩,১৪,০০০ মানুষ এই কমিউনিটির জন্য কাজ করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন যে হ্যাকিং কমিউনিটি আক্রমণ করতে পারে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে দুটি বড় চীনা হ্যাকার গ্রুপ গোথিক পান্ডা এবং স্টোন পান্ডা উভয়েরই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে নিবিড় সম্পর্ক আছে। এরা ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মগুলির দুর্বলতাগুলি খুঁজছে, যার সাহায্যে ক্ষতি করা যেতে পারে। এছাড়াও, তাদের পক্ষ থেকে কিছু বিদ্বেষপরায়ণ ক্যাম্পেন করা হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *