iPhone 6s পাল্টে কিনেছেন iPhone 12 Pro, কিন্তু কেন খুব একটা খুশি নন 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা' ওরফে ক্রিস ইভান্স?
একটা সময় ছিল যখন ফোন কেনার আগে ক্রেতারা ভাবতেন যে নতুন কেনা ফোনটিকে অন্তত দুই-তিন বছর তো চালাতেই হবে। কিন্তু এখন সময়...একটা সময় ছিল যখন ফোন কেনার আগে ক্রেতারা ভাবতেন যে নতুন কেনা ফোনটিকে অন্তত দুই-তিন বছর তো চালাতেই হবে। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায়শই নানাবিধ কার্যকর ফিচারসমেত নতুন নতুন স্মার্টফোন বাজারে আসছে। তাই পুরোনো ফোন পাল্টে নতুন ফোন কেনা এখন অধিকাংশ মানুষের কাছেই জলভাত হয়ে গিয়েছে। ধনী হোক কিংবা দরিদ্র, যেকোনো স্তরের মানুষই এখন আর একটা স্মার্টফোন মডেলে দীর্ঘদিন আটকে থাকতে চান না, উন্নত টেকনোলজিসম্পন্ন হ্যান্ডসেটকে পকেটস্থ করে যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ফোনের পাশাপাশি নিজেকেও আপগ্রেড করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া কিছুদিন ব্যবহারের পর প্রতিটি স্মার্টফোনেরই পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিচের দিকে নেমে যায়। তবে লেটেস্ট মডেল কিনলেই যে পরিতৃপ্তি মিলবে, এমন অভিজ্ঞতাও কিন্তু সব ক্রেতার হয় না। অনেকেই একগুচ্ছ কার্যকর ফিচারসমেত ব্র্যান্ড-নিউ স্মার্টফোন কেনা সত্ত্বেও তাতে কাঙ্খিত ফিচার না মেলায় খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। এবং শুধু আমআদমিই নয়, তাবড় তাবড় সেলিব্রিটিও এই দলের অন্তর্ভুক্ত। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমনই এক বহুল জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতার কথা জানাতে চলেছি, যিনি হালফিলে পুরোনো ফোন পাল্টে নতুন স্মার্টফোন কিনেও খুব একটা খুশি হতে পারেননি, আর তার পেছনে বেশ কিছু বৈধ কারণও আছে বৈকি!
iPhone 12 Pro কিনে এই কারণে খুশি নন হলিউড অভিনেতা
আসলে আমরা বলছি হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ক্রিস ইভান্স (Chris Evans)-এর কথা, যিনি মার্ভেলের 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা' চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি তার সাত বছরের পুরোনো আইফোন ৬এস (iPhone 6s)-কে বিদায় জানিয়ে আইফোন ১২ প্রো (iPhone 12 Pro) মডেলটি পকেটস্থ করেছেন। ক্রিস, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পুরোনো ফোন সম্পর্কে পোস্ট করার পর অনেকেরই ধারণা ছিল তিনি লেটেস্ট মডেল আইফোন ১৩ (iPhone 13) কিনবেন, কিন্তু তা না করে তিনি আইফোন ১২ প্রো-তে আপগ্রেড করেছেন। সেক্ষেত্রে কোলাইডার (Collider)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই অভিনেতা জানিয়েছেন যে, আইফোন ১২ প্রো ব্যবহার করে তিনি খুব একটা খুশি নন এবং তার পিছনে কিছু বৈধ কারণও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, ফোনটিতে হোম বাটন (home button) না থাকায় তার বেশ অসুবিধা হচ্ছে। উপরন্তু, এই মডেলটি বেশ ভারী বলেও জানিয়েছেন ইভান্স।
উল্লেখ্য যে, ইভান্সই একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি হোম বাটনটির অভাব অনুভব করছেন। এই দলে আরও এক প্রখ্যাত মানুষ শামিল রয়েছেন এবং তিনি হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, আইফোনের হোম বাটনটি 'সোয়াইপ'-এর চেয়ে অনেক ভালো। এই প্রসঙ্গে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে, আইফোন এক্স (iPhone X) লঞ্চ করার পর থেকেই বেশিরভাগ হ্যান্ডসেট থেকে হোম বাটনটিকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছে নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল (Apple)। এছাড়া, নতুন আইফোনগুলিতে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের ব্যবহার হওয়ায় মডেলগুলি আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি ভারী হয়ে গিয়েছে। আর সেজন্যই ইভান্সের মতো পুরোনো মডেল থেকে নতুন আইফোনে আপগ্রেড করা বহু ইউজারই বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, iPhone X লঞ্চ করার সাথে সাথে কার্পেটিনো ভিত্তিক টেক জায়ান্টটি হোম বাটনটিকে সরিয়ে ফেললেও কেবল আইফোন এসই (iPhone SE) সিরিজের ফোনগুলিতে এই বাটনটি উপলব্ধ রয়েছে। ২০২০ সালে iPhone SE (2020) লঞ্চ করার পর থেকে কেবলমাত্র এই সিরিজের ফোনেই বাটনটি ব্যবহারের সুযোগ পান ইউজাররা। সাক্ষাৎকারে ইভান্স একথাও জানিয়েছেন যে, অনেকেই তার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে তাকে iPhone SE কেনার পরামর্শ দিয়েছিল৷ তবে যে বাটনটিকে কেন্দ্র করে এত আলোচনা, সেটির সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে Apple-এর ফ্ল্যাগশিপ মডেলে হোম বাটনের প্রত্যাবর্তন না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। তাই আইওএস (iOS) যে সোয়াইপ এবং জেশ্চারগুলি অফার করে, ইউজারদের তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াই শ্রেয়।