পরিবেশ দূষণের অজুহাতে উত্তরপ্রদেশের এই শহরে টোটো নিষিদ্ধ হল, প্রশাসনের নির্দেশে অবাক সবাই
বৈদ্যুতিক যানবাহন সাধারণত পরিবেষবান্ধব হিসাবেই গণ্য করা হয়৷ প্রত্যক্ষভাবে দূষণের সাথে যোগ না থাকার ফলে বিদ্যুৎচালিত...বৈদ্যুতিক যানবাহন সাধারণত পরিবেষবান্ধব হিসাবেই গণ্য করা হয়৷ প্রত্যক্ষভাবে দূষণের সাথে যোগ না থাকার ফলে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চেষ্টায় খামতি রাখছে না কেন্দ্র৷ কিন্তু এবার প্রকৃতি দূষণের অজুহাত দেখিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের ১১টি রুটে ইলেকট্রিক রিকশা বা টোটোর চলাচল পুরোদস্তুর বন্ধের নোটিশ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ লখনউ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন হযরতগঞ্জ, গোমতীনগর এবং আলমবাঘের মত জনবহুল এলাকায় টোটোর যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
উক্ত নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করে সম্মতি দেন লখনউ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার ডি কে ঠাকুর। তিনি বলেন, “যানজট কমাতে লখনউ শহরের মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট, ১৯৮৮-র সেকশন ১৫ এবং উত্তরপ্রদেশ মোটর ভেহিকেল রুল ১৯৯৮-এর সেকশন ১৭৮ অনুযায়ী যান চলাচলে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে শহরের ১১টি রুটের ইলেকট্রিক রিকশা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঠাকুর যোগ করেন, “বায়ু দূষণ, ট্র্যাফিক জ্যাম ও সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য এই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ছিল।” ১২ মে থেকে উক্ত এলাকাগুলিতে বৈদ্যুতিক রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এহেন নিষিদ্ধকরণের ডাক দিয়েছিল লখনউ প্রশাসন। ২০১৮ সালে ৩৬টি রুটে ইলেকট্রিক রিকশার চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ এবং ১০টি রুটে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চালানোর ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে টোটো যানজট সৃষ্টি করলেও ধোঁয়া বেরোয় না বলে এখন পরিবেশ দূষণের যে যুক্তি খাঁড়া করা হয়েছে, তাতে অবাক হয়েছেন যাত্রী থেকে চালক, সবাই।
প্রসঙ্গত, ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে ৪৬% অংশীদারিত্ব তিন চাকা গাড়ির৷ স্বল্প দূরত্বের জন্য গ্রাম-গঞ্জ হোক কিংবা বড় বা ছোট শহর, এই জাতীয় যানবাহনের জুড়ি মেলা ভার। আবার লাস্ট মাইল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই জাতীয় গাড়ি কেনার সময় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ভর্তুকি পাওয়া যায়।