Cryptocurrency: জালিয়াতির নয়া নজির! ২০২১ সাল থেকে ক্রিপ্টোকেলেঙ্কারীতে প্রতারিত ৪৬ হাজার মানুষ
আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে Web3 (ওয়েব৩) নামক বিশেষ নেট ভার্সন (ব্লকচেইন টেকনোলজি নির্মিত) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির...আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে Web3 (ওয়েব৩) নামক বিশেষ নেট ভার্সন (ব্লকচেইন টেকনোলজি নির্মিত) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির (Crypto Currency) পরিধি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মূলত কোনোরকম ঝামেলা ছাড়া বিনিয়োগ এবং পণ্য-পরিষেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্ভব হওয়ায়, সাধারণ মানুষ তথা গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব এই বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু প্রযুক্তি তথা নেটদুনিয়ার অন্যান্য বিষয়ের মত এইদিকেও জাল ছড়াতে শুরু করেছে প্রতারকরা। ফলে, বর্তমানে বিশ্বের বহু জায়গাতেই ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা ঘটছে বলে শোনা যাচ্ছে। গত এপ্রিলেই ভিডিও গেম থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪,৫০০ কোটি টাকা) ক্রিপ্টো চুরির বিষয়টি সামনে এসেছিল। তবে এবার এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষায় ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা FTC (এফটিসি) দাবি করেছে যে, ২০২১ সালের শুরু থেকে ক্রিপ্টোকেলেঙ্কারীতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মূল্যে ৭,৭৭৫ কোটি টাকা) হারিয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। বুঝতেই পারছেন অঙ্কটা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে যে কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
৮০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্রিপ্টোকেলেঙ্কারীর নেপথ্য
আসলে গত বছর ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রেজ খুব বেশি ছিল (এর মধ্যে জনপ্রিয়তম ক্রিপ্টো বিটকয়েন ২০২১ সালে রেকর্ড পর্যায়ে ছিল), আর সারা বিশ্বের মানুষ ডিজিটাল মুদ্রার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিষয়টিরই সুযোগ নেয় জালিয়াতরা। যারা এই স্ক্যাম বা কেলেঙ্কারীতে টাকা খুইয়েছেন তাঁদের মধ্যে অর্ধেক জন বলেছে যে এসবের সূত্রপাত বিজ্ঞাপন বা সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেজ থেকে! এক্ষেত্রে ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram), হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram)-সহ শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলির মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণাকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, এই সোশ্যাল মিডিয়া জালিয়াতিতে প্রতি ১০ ডলারের মধ্যে ৪ ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সি নষ্ট হয়েছে। এফটিসি-এর মতে, গড়ে একজন ব্যক্তি লিয়াতিতে ২,৬০০ ডলার (প্রায় ২,০২,০০০ টাকা) হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিটকয়েন, টিথার (Tether) এবং ইথার (Ether)-এর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। যেমন গত বছরের নভেম্বরে বিটকয়েনের রেকর্ড দাম ছিল ৬৯ হাজার ডলার (প্রায় ৫৩.৬ লাখ টাকা)। অথচ এখন বিটকয়েনের দাম ২৩.৪১ লক্ষ টাকা হয়েছে।
তাই এফটিসি সাধারণ মানুষকে এই ধরনের স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে এই বছরের মে মাসে, ডগকয়েন (Dogecoin)-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা বিলি মার্কাস ৯৫% ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্পকে 'স্ক্যাম এবং আবর্জনা' বলেছেন। এদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বারবারই ভারতীয় নাগরিকদের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিচ্ছে।