জনসাধারণের জন্য একশোটি EV চার্জিং স্টেশন প্রায় প্রস্তুত, ইউনিট পিছু দু'টাকা মাসুল, বৈদ্যুতিক গাড়ি মালিকদের জন্য স্বস্তি
বর্তমানে গোটা বিশ্ব দূষণের কবল থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। সমগ্র বিশ্ব ছুটে চলেছে...বর্তমানে গোটা বিশ্ব দূষণের কবল থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। সমগ্র বিশ্ব ছুটে চলেছে "জিরো এমিশনের" লক্ষ্যে। পেট্রোল ও ডিজেল চালিত যানবাহনকে দূরে সরিয়ে ইলেকট্রিক গাড়িকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সকলে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এই ধরনের গাড়ি চার্জ দেওয়ার স্টেশনের অভাব প্রকট ভারতে। এই সমস্যার সমাধানে যে কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তার মধ্যে অন্যতম দিল্লি।
আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লির বুকে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য একশোটি চার্জিং স্টেশন চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে কেজরীওয়াল প্রশাসন। সেগুলির মধ্যে প্রায় ৯৫টি চার্জিং স্টেশনের গঠনগত কাজ প্রায় সমাপ্ত। তার এবং মূল গ্রিড থেকে পাওয়ার আনার ব্যবস্থা করা শুধু বাকি। প্রতিটি চার্জিং কেন্দ্রে পাঁচটি করে পয়েন্ট থাকছে। সব মিলিয়ে মোট ৫০০টি চার্জিং পয়েন্ট। যা দিয়ে একই সময়ে পাঁচশোটি বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেওয়া সম্ভব। ইউনিট পিছু দু'টাকা মাশুল ধার্য করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।
চার্জিং স্টেশনগুলি নির্মাণের জন্য দিল্লি সরকারের জমি অধিগ্রহণ করে দরপত্র হেঁকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে সেগুলি। ফলে দৈনন্দিন যাতায়াতে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং মেট্রো উভয় ব্যবহারকারীদের সুবিধা হবে। আবার জনাসমাগম বেশি বলে পরিচালন সংস্থার লাভ। যৌথ উদ্যোগ প্রকল্প বা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে চালানো হবে চার্জিং স্টেশনগুলি সরকারের পক্ষ থেকে জমি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আর চুক্তি অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাগুলোর উপরেই বর্তাবে।
২০২৪-এর মধ্যে মোট নিবন্ধিত গাড়ির মধ্যে ২৫% বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে দিল্লি সরকার। লক্ষ্য পূরণে ইতিমধ্যেই ৫৯৭টি চার্জিং স্টেশন এবং ৮২৫ টি চার্জিং পয়েন্ট বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ১২৫ টি ব্যাটারি সোয়াপিং বা ব্যাটারি বদলের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি ৩ কিলোমিটার অন্তর চার্জিং পয়েন্টে ইন্সটলের পরিকল্পনা প্রশাসনের।