Driving Licence: কাজের চাপে দিনে সময় পাচ্ছেন না? এবার রাতেও ড্রাইভিং পরীক্ষার ব্যবস্থা
মানুষ ক্রমেই কর্মব্যস্ততার মধ্যে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। আট থেকে আশি সকলেই যে যার মতো ব্যস্ত। সময়ের নিতান্তই অভাবের জন্য...মানুষ ক্রমেই কর্মব্যস্ততার মধ্যে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। আট থেকে আশি সকলেই যে যার মতো ব্যস্ত। সময়ের নিতান্তই অভাবের জন্য নিত্যদিনের পথ চলতে প্রয়োজন এমন কিছু কাজ করার ফুরসত আমরা পাই না। যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ট্রায়াল দিতে যাওয়া। তবে আর চিন্তা নেই। এবার অফিস বা নিজের কাজ সামলেও যাতে ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করল দিল্লি সরকার। কী সেই ব্যবস্থা শুনবেন? এবার থেকে সকালের পাশাপাশি সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও গাড়ির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেওয়া যাবে।
দিল্লির শাকুরবস্তি, ময়ূর বিহার এবং বিশ্বাস নগরে অবস্থিত তিনটি স্বয়ংচালিত ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাকে সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করেছে। প্রতিদিন ৪৫ জন পরীক্ষার্থী এই টেস্ট দিতে পারবেন। যা ১ মে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে গাড়ি চালানোর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অফিস থেকে ছুটি না নিলেও চলবে।
এই স্বয়ংচালিত ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাকে গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২০ রকমের দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে টোকেন সরবরাহের জন্য রয়েছে একটি ইলেকট্রনিক কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (EQMS)। ড্রাইভিং টেস্ট নিরীক্ষণ এবং ফলাফল শেয়ার করার জন্য ছ'টি সার্ভার বসানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিটি সেকেন্ড গভীরভাবে নজরে রাখতে ১৭টি হাই রেজুলেশনের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেগুলি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনেই দেখা যাবে।
বুধবার দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী কৈলাস গেহলট তিনটি জায়গায় স্বয়ংচালিত ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাক উদ্বোধনের সময় বলেন, আমাদের পরীক্ষা সফল হয়েছে। কাজ দিনের বেলা মিটিয়ে সন্ধ্যায় পরীক্ষা দিতে এসে সবাই খুশি। আমরা ইতিমধ্যেই দুই শিফ্ট মিলিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মোট ২,৫০০ জনের পরীক্ষা নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “দিনের মতোই রাতের পরীক্ষাতেও সুবিধা রয়েছে। আমরা আরও আটটি নতুন স্বয়ংচালিত ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করতে চলেছি। এটি মানুষের সময় বাঁচানোর জন্য উৎকৃষ্ট পদক্ষেপ হবে।” প্রসঙ্গত এই জাতীয় ট্র্যাকের টেস্ট রান গত বছর থেকেই শুরু করেছিল কেজরীওয়াল সরকার। রাজধানীতে ১২টি স্বয়ংচালিত ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাক তৈরীর জন্য মারুতি সুজুকি ফাউন্ডেশনের সাথে হাত মিলিয়েছে সরকার।