Digital Arrest Scam

ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পড়লে সর্বস্ব শেষ, এই জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচার উপায় জেনে রাখুন

Digital Arrest Scam - কোনও অপরাধ ছাড়াই ইডি, সিবিআই, আরবিআই এবং পুলিশের ছদ্মবেশে আপনাকে ভুয়ো ওয়ারেন্ট বা নোটিশ পাঠানো হতে পারে। আর তা দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপর আপনাকে নির্দোষ প্রমাণ করানোর জন্য টাকা পাঠাতে বলবে হ্যাকাররা।

Suvrodeep Chakraborty 5 Nov 2024 6:22 PM IST

ডিজিটাল জমানায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা রকমের প্রতারণা ও জালিয়াতি। সেরকমই একটি ফাঁদ ডিজিটাল অ্যারেস্ট। এই প্রতারণায় ভুয়ো ওয়ারেন্ট এবং নোটিশ পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। তারপর নানা ভাবে টাকা আদায় করার চেষ্টা করা হয়। এই জালিয়াতি যেকোনও সময় যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট আসলে কী?

কোনও অপরাধ ছাড়াই ইডি, সিবিআই, আরবিআই এবং পুলিশের ছদ্মবেশে আপনাকে ভুয়ো ওয়ারেন্ট বা নোটিশ পাঠানো হতে পারে। আর তা দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপর আপনাকে নির্দোষ প্রমাণ করানোর জন্য টাকা পাঠাতে বলবে হ্যাকাররা। ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদন বলছে, ঠিক এভাবেই চলতি বছরে ২,১৪০ কোটি টাকা লোপাট করেছে জালিয়াতরা।

সম্প্রতি মন কি বাত অনুষ্ঠানে, বাড়তে থাকা ডিজিটাল প্রতারণা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে অনুসন্ধান চালায় না। এমন সন্দেহজনক ফোন, মেসেজ বা অনলাইন বার্তা পেলে তা দ্রুত রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দেশজুড়ে বাড়তে থাকা এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে বাঁচার জন্য এই ৬টি টিপস মেনে চলতে পারেন -

১. আপনি যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের হুমকি-সহ কোনও নোটিশ পান তাহলে সতর্ক হোন। কারণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং এই ধরনের তাৎক্ষণিক নোটিশ জারি করে না।

২. জালিয়াতরা প্রায়ই ভিকটিমদের ভয় দেখাতে এবং বিভ্রান্ত করতে জটিল আইনি শব্দ ব্যবহার করে। কিন্তু প্রকৃত আইনি নোটিশ সাধারণত স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হয়।

৩. প্রকৃত নোটিশ বা ওয়ারেন্টে সংস্থা বা দফতরের স্পষ্ট স্ট্যাম্প এবং লোগো থাকে। যদি স্ট্যাম্প বা লোগো সন্দেহজনক তাহলে সেটি ভুয়ো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৪. আসল নোটিশে সাধারণত ডিজিটাল সই এবং অনুমোদিত কর্মীর হাতে লেখা সই থাকে। এটি না থাকলে সতর্ক হওয়া দরকার।

৫. আসল নোটিশের সত্যতা প্রমাণ করে তাতে দেওয়া ফোন নম্বর বা ইমেইল আইডি। কিন্তু জালিয়াতরা সাধারণত যোগাযোগের তথ্য এড়িয়ে চলে।

৬. প্রকৃত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যক্তিদের প্রকাশ্যে নোটিশ দেয় না। নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে চলা হয়। কিন্তু জালিয়াতদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ বিপরীত।

Show Full Article
Next Story