এই পানীয় খেয়ে গাড়ি চালালে প্রায় আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, হতে পারে এক বছরের জেলও

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোটা যে কোনো দেশের ট্রাফিক আইনে নীতিবিরুদ্ধ কাজ। আর সব দেশেই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করা হয় না। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত…

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোটা যে কোনো দেশের ট্রাফিক আইনে নীতিবিরুদ্ধ কাজ। আর সব দেশেই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করা হয় না। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হল ব্রিটেন সরকার। কঠোর হাতে এই জাতীয় ঘটনাকে রোধ করতে তৎপর সে দেশের সরকার। জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নিয়মকানুনও।

এই নিয়ম অনুযায়ী মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ভারতীয় মুদ্রায় ২.৪ লাখ টাকার জরিমানা করা হবে। অনাদায়ে তিন মাসের জেল পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িকভাবে ব্যান করা হতে পারে।

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার হলে সেক্ষেত্রে ছয় মাসের জেল বা অগুনতি টাকা জরিমানা হিসেবে ধার্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স ১২ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য ব্যান করা হতে পারে।

তবে এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কোনো কোনো ড্রাইভার ট্রাফিক পুলিশের নির্দিষ্ট অ্যালকোহল পরীক্ষার যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাসের পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। এমন পরিস্থিতিতেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৬ মাসের জেল কিংবা অগুনতি টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। প্রয়োজনে সেই ব্যক্তির লাইসেন্সকে এক বছরের জন্য ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এখানেই শেষ নয়, মধ্যব্য অবস্থায় থাকা কোন চালকের দ্বারা দুর্ঘটনায় কারোর মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত চালককে ১৪ বছরের জেল, সাথে অনেক টাকা অব্দি জরিমানা কিংবা দু বছরের জন্য তার লাইসেন্স ব্যান করা হতে পারে।