Tata Motors: ভরদুপুরে আচমকা ভয়াবহ আগুন টাটার বাসে, ভাগ্যক্রমে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা

অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচলেন ২০ জন যাত্রী। ভরদুপুরে দিল্লির মাঝরাস্তায় আচমকাই দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (DTC)-র চলন্ত সিএনজি চালিত বাসে আগু ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সমগ্র…

অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচলেন ২০ জন যাত্রী। ভরদুপুরে দিল্লির মাঝরাস্তায় আচমকাই দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (DTC)-র চলন্ত সিএনজি চালিত বাসে আগু ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সমগ্র বাসটি গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। আকাশ ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে স্তম্ভিত শহরবাসী!

সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে নির্গত কালো ধোঁয়া দিল্লির আকাশ গ্রাস করেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি, যা তদন্ত সাপেক্ষ। এদিকে দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে বাসটির নির্মাতা সংস্থা টাটা মোটরস (Tata Motors) একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, আগুন লাগার আসল কারণ জানার জন্য তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবে তারা।

টাটার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নতুন দিল্লির সিএনজি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনায় কোনো ব্যক্তি হতাহত হননি। যদিও আমরা আগুন লাগার নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না। সেটি এখন তদন্তের অধীন। অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ জানার বিষয়ে আমরা তদন্তকারী দলকে সব রকমের সহায়তা করব। গণপরিবহনের জন্য টাটা মোটরস নিরাপদ এবং উচ্চমানের যানবাহন নিয়ে আসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে, বুধবার দুপুর ২:২০ নাগাদ দক্ষিণ দিল্লির ৫৩৪/৩৯ নং রাস্তায় ৯২৪৮ নম্বর প্লেটের বাসের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। এরপর আগুন লেগে যাওয়ায় বাসের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা বিফল হয়। তবে সৌভাগ্যবশত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভিডিয়োর কথায় সিলমোহর দিয়েছে দিল্লির দমকল দপ্তর। জানা গিয়েছে আনন্দ বিহার আইএসবিটি থেকে মেহেরাউলি যাচ্ছিল বাসটি। দমকলের ৯টি ইঞ্জিনের ঘন্টা দুয়েকের প্রচেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তবে বাসে উপস্থিত সমস্ত যাত্রীকেই নিরাপদে সময় মত বের করে আনা গিয়েছিল।