ভারত সরকার কে ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ লেনদেন, Xiaomi-র ৫৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত ED-র
বৈদেশিক বিনিময় আইনের (FEMA) বলে এবার স্বনামধন্য টেকনোলজি ফার্ম, শাওমি ইন্ডিয়া (Xiaomi India) গ্রুপের থেকে প্রায়...বৈদেশিক বিনিময় আইনের (FEMA) বলে এবার স্বনামধন্য টেকনোলজি ফার্ম, শাওমি ইন্ডিয়া (Xiaomi India) গ্রুপের থেকে প্রায় ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করলো ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। বিদেশে অার্থিক আদানপ্রদানে অস্বচ্ছতার কারণে জরিমানা হিসেবে চীনা কোম্পানির মালিকানাধীন আলোচ্য সংস্থার থেকে এই টাকা আদায় করা হয়েছে বলে ইডির (ED) বক্তব্য। তাছাড়া দীর্ঘ তদন্তের পর উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতেই তারা আলোচ্য সংস্থার থেকে উপরোক্ত অঙ্ক উসুল করেছেন বলে ইডির কর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইডি, শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক আলোচ্য সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। দেখা যায় ভারতে জাঁকিয়ে বসার পর ২০১৫ সাল থেকে চীনভিত্তিক শাওমি গ্রুপের (Xiaomi Group) মালিকানাধীন এই সংস্থা বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের সূচনা করে। তখন থেকে এই সংস্থাটি রয়্যালটি মূল্যের নামে প্রায় ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বিদেশে চালান করেছে বলে প্রকাশিত। মোট তিনটি বিদেশস্থ কোম্পানির তহবিলে আলোচ্য সংস্থাটি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছে বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, যেখানে স্মার্টফোন ও নিজেদের অন্যান্য প্রোডাক্ট তৈরীর ব্যাপারে শাওমি ইন্ডিয়া ভারতীয় প্রস্তুতকারকদের উপরেই নির্ভরশীল, সেখানে কোনওরকম সাহায্য গ্রহণ ছাড়াই ঠিক কি কারণে সংস্থা উপরোক্ত বিরাট অঙ্কের অর্থ বিদেশস্থ তিন কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। এহেন সম্পর্কবহির্ভূতভাবে বিদেশে অর্থ চালান করে সংস্থাটি FEMA (Foreign Exchange Management Act. , 1999) -র অন্তর্গত ৪ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। এই পুরো ঘটনার ফলে ভবিষ্যতে এদেশে শাওমি ইন্ডিয়ার সুনাম যে অনেকখানি ক্ষুণ্ণ হবে তা বলা বাহুল্য।
অবশ্য শুধুমাত্র বিদেশে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ চালান নয়, একইসাথে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও শাওমি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত মনে করিয়ে দিই, এমাসের শুরুতে ইডি তদন্তের স্বার্থে Xiaomi-র গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মনু কুমার জৈনকে তলব করে। গোপন সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা তাকে সংস্থার আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত একাধিক নথিপত্র জমা করার জন্য চাপ দেয়। এদের মধ্যে শাওমির শেয়ারহোল্ডিং, তহবিলের উৎস, ভেন্ডর কনট্র্যাক্ট, দেশীয় পরিসরে এবং দেশের বাইরে অর্থ স্থানান্তর সংক্রান্ত কাগজপত্র উল্লেখযোগ্য, যা মনু কুমার জৈনের কাছ থেকে তদন্তকারীরা উদ্ধারের চেষ্টা করেন।