Twitter, Facebook কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আনতে পারেন Elon Mask
আগামীদিনে সম্পূর্ণ নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম প্রকাশ্যে আনতে পারেন টেসলা (Tesla)-র সিইও ইলন মাস্ক। টুইটারে...আগামীদিনে সম্পূর্ণ নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম প্রকাশ্যে আনতে পারেন টেসলা (Tesla)-র সিইও ইলন মাস্ক। টুইটারে (Twitter) এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্বয়ং তার এই ইচ্ছের কথা জানান। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি গভীরভাবে ভাবতে শুরু করেছেন বলেও মাস্কের বক্তব্য। সেক্ষেত্রে নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করলে সেখানে তিনি মানুষের কথা বলার অধিকারকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
Twitter ইউজার ভক্তের দাবি শুনলেন ইলন মাস্ক
আসলে টুইটারে এক ভক্ত সম্প্রতি মাস্কের উদ্দেশ্যে তার প্রশ্ন নিক্ষেপ করেন। টেসলা সিইও'র কাছে সেই অনুরাগী আগামীদিনে নতুন সামাজিক মাধ্যম প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ রয়েছে কিনা তা জানতে চান। একইসাথে অনুরাগী দাবি করেন, নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লঞ্চের চিন্তাভাবনা থাকলে তা যেন ওপেন সোর্স অ্যালগরিদম ভিত্তিক এবং সকলের স্বাধীন মতপ্রকাশের অনুকূল হয়।
কেন নতুন সামাজিক মাধ্যম লঞ্চের কথা ভাবছেন Tesla সিইও?
একথা হয়তো অনেকেই জানেন যে ইলন মাস্ক খোদ টুইটারের একজন অতি সক্রিয় ব্যবহারকারী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এই সামাজিক মাধ্যমের আচরণে বিরক্ত। এ ব্যাপারে মাস্কের সাফ বক্তব্য, সদস্যদের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করে টুইটার বহুক্ষেত্রে গণতন্ত্রকেই লঙ্ঘন করছে যা কখনোই প্রশংসাযোগ্য নয়। আর সেজন্যেই তিনি ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম প্রকাশ্যে আনতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মাস্ক টুইটারে একটি পোল (Poll) ক্রিয়েট করেন, যেখানে তিনি স্বাধীন মতপ্রকাশের নীতিকে টুইটার আদৌ অনুসরণ করে কিনা তা জানতে চান। উল্লেখ্য সেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ ইউজার টুইটারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন!
সুতরাং ভক্তদের মনের আক্ষেপ মেটাতে ইলন মাস্ক যদি সত্যিই একটি নতুন সামাজিক মাধ্যম লঞ্চের ব্যাপারে উদ্যোগী হন, তবে প্রাথমিকভাবে হয়তো তিনি এই মুহূর্তে স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে সবচেয়ে অনুকূল কোনো সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন। সেক্ষেত্রে Twitter কিংবা Meta -অধিকৃত Facebook জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারে বলে আমাদের ধারণা। যদিও বর্তমানে এদের বিকল্প হিসেবে উঠে আসা বেশ কয়েকটি সংস্থা যেমন Gettr, Parler অথবা ভিডিও সাইট Rumble জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।