মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে খুব শীঘ্রই গাড়িতে বাধ্যতামূলক হবে Flex Fuel Engine, বার্তা নিতিন গডকড়ী’র

সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত Bio-Fuel বা জৈব জ্বালানি যেমন ইথানল (Ethanol), যার দ্বারা চালিত গাড়ি বা Flex-Fuel Engine প্রসঙ্গে এর আগেও একাধিকবার সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল…

সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত Bio-Fuel বা জৈব জ্বালানি যেমন ইথানল (Ethanol), যার দ্বারা চালিত গাড়ি বা Flex-Fuel Engine প্রসঙ্গে এর আগেও একাধিকবার সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)-কে। এবার আরও একবার এ বিষয়ে সুর চড়ালেন তিনি। তাঁর কথায় দেশে খুব শীঘ্রই যে Flex Engine-এর গাড়ি নির্মাণ বাধ্যতামূলক হতে চলেছে তা স্পষ্টতই প্রকাশ পেয়েছে। এটি চালু করার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গাড়িতে জৈব জ্বালানির বা Bio-Fuel ব্যবহৃত হলে মালিকদের আর্থিক সাশ্রয় তো হবেই, পাশাপাশি কম্বাশান ইঞ্জিনের যানবাহনের মত এ থেকে দূষণ ছড়াবে না।

আবার ভারতে আখ, ভুট্টা, ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হওয়ায় বায়ো ফুয়েল বা জৈব জ্বালানি খুব সহজেই প্রস্তুত করা যাবে। দেশে ফ্লেক্স-ইঞ্জিন চালু হলে জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি কম করতে হবে। ফলে এতে রাজকোষের উপর চাপ কমবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সূত্র টেনে বলেন, এই জায়গাটি আখ চাষের বিশাল ক্ষেত্র, যা থেকে দেশের সমস্ত পেট্রোল পাম্পগুলিকে Bio-Fuel বা জৈব জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা যায়।

পেট্রলের সাথে ইথানল মিশিয়ে তৈরি হয় এই Flex Fuel বা ফ্লেক্সিবেল ফুয়েল। দেশে এই বায়োফুয়েল চালু হলে একদিকে যেমন আখ চাষীদের লাভ হবে, পাশাপাশি চিনির মিলগুলিরও মুনাফা হবে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, “ইতিমধ্যেই পুনেতে তিনটি ইথানল পাম্প রয়েছে এবং রাজ্য সরকারকে পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ১০০% ইথানল চালিত অটোরিকশা চালু করার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত গডকড়ী জানিয়েছেন যে, তিনি সম্প্রতি গাড়ি ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থা Kirloskar ও Toyota-র সাথে বৈঠক করেছেন। তর কথায়, “সংস্থা দুটি Flex Engine গাড়ি ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। ফ্লেক্স ইঞ্জিন মানে যা ১০০% পেট্রোল অথবা ইথানল উভয় জ্বালানিতেই চলতে পারে। এটি Euro 6 নিয়মাবলী অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই Flex Engine-কে বাধ্যতামূলক করতে চলেছি।”

প্রসঙ্গত বর্তমানে প্রায় নিত্যদিন পেট্রোল-ডিজেলের দামের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের জনগণের সরাসরি Flex Fuel-এ পরিবর্তিত হওয়া উচিত, কারণ এর দাম হবে লিটার প্রতি ৬২ টাকা, এছাড়াও এটি পরিবেশবান্ধব।