সরকারের মদতে বাড়ছে হ্যাকিং ও ম্যালওয়্যার আক্রমণ, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল Google

বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। বিভিন্ন অসাধু প্রতিষ্ঠান, হ্যাকার গোষ্ঠী, সাইবার অপরাধীদের সাথে বহু সরকারি মদতপুষ্ট সংস্থাকেও নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ…

বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। বিভিন্ন অসাধু প্রতিষ্ঠান, হ্যাকার গোষ্ঠী, সাইবার অপরাধীদের সাথে বহু সরকারি মদতপুষ্ট সংস্থাকেও নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির কাজে নামতে দেখা গিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউজারদের সতর্ক করতে Google ধাপে ধাপে ৫০,০০০ ই-মেইল পাঠানোর কাজ শেষ করেছে বলে খবর। এক্ষেত্রে যে সমস্ত ইউজারের অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে তাদের কাছে Google সাবধানবাণী পৌঁছে দিয়েছে। মূলত সরকারি মদতপুষ্ট হ্যাকিং থেকে ইউজারদের বাঁচাতেই তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে Google জানিয়েছে।

টেক জায়ান্টটির বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় সাম্প্রতিক কালে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হ্যাকিং, নজরদারি এবং ম্যালওয়্যার আক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া প্রায় ৫০টিরও বেশী দেশে রাষ্ট্র সমর্থিত অ্যাটাকার গ্রুপের হদিশ মিলেছে বলে গুগলের দাবী।

নিজেদের ব্লগপোস্টে গুগল একটি ইরানীয় গ্রুপের উল্লেখ করেছে, যারা সরকারের মদতে উপরোক্ত ধরনের আক্রমণ ও নজরদারির কাজ চালিয়ে থাকে। APT35 নামের এই গ্রুপ বছরের পর বছর ধরে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে ইউজারদের অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক, তথ্য লোপাট এবং ম্যালওয়্যার প্রেরণের কাজ চালিয়ে এসেছে। আর এই সবকিছুই তারা করেছে নির্বাচিত সরকারের স্বার্থ পূরণের উদ্দেশ্যে।

চলতি বছরের শুরুতেই APT35 গ্রুপ একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বহুজনের কাছে বিশেষ লিঙ্ক সমন্বিত ই-মেইল পাঠায়। এর মাধ্যমে তারা Gmail, Hotmail এবং Yahoo ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাসিলের চেষ্টা করে। তারা ইউজারদের একটি নকল ওয়েবিনারে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানায় এবং তাদের ডিভাইসে প্রেরিত সেকেন্ড ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কোড পর্যন্ত দাবী করে!

নিজেদের প্রতিটি পদক্ষেপকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য APT35 নামের ইরানীয় অ্যাটাকার গোষ্ঠী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে কোনো কসুর করেনি। ২০১৭ সাল থেকে নিজেদের অভিনব প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তারা সরকারি উচ্চপদ, শিক্ষাক্ষেত্র, সাংবাদজগত, এনজিও, বিদেশনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট এর উপরে নজরদারির কাজ চালিয়ে গেছে। এমনকি গত বছরে তারা Google Play Store -এও স্পাইওয়্যার আপলোডের চেষ্টা চালায়। যদিও ইউজারদের ডাউনলোড করার আগেই Google স্পাইওয়্যার সমন্বিত অ্যাপটিকে প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে দেয়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন