গতবছর ১২ লক্ষ বিপদজনক অ্যাপ থেকে Android ডিভাইসকে সুরক্ষিত রেখেছে Google
গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store), অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফ্রি ও পেইড উভয় সংস্করণেই নানাবিধ অ্যাপ এবং গেম...গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store), অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফ্রি ও পেইড উভয় সংস্করণেই নানাবিধ অ্যাপ এবং গেম ডিভাইসে ডাউনলোড করতে দেয়। তবে আমরা জানি গুগলের এই অ্যাপ স্টোরে ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার সহ এমন অনেক অ্যাপ্লিকেশনও বিদ্যমান আছে, যা ব্যবহারকারীর অজান্তে তার ক্রেডিট কার্ড, আইডি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ বিবিধ ব্যক্তিগত তথ্য অবাধে চুরি করে নেয় এবং এই সকল তথ্যাদিকে ভুল কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। তবে কথায় আছে, প্রত্যেক সমস্যার একটি সমাধানও থাকে। সেই রূপ এই সকল দূষিত অ্যাপকে চিহ্নিত করার জন্য টেক জায়ান্টটি বিভিন্ন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, সাথে গুগলের কাছে 'প্লে প্রোটেক্ট' (Play Protect) ফিচার উপলব্ধ রয়েছে, যা অবাঞ্ছিত তথা ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে, নতুন অ্যাপ ডাউনলোড বা ইনস্টল করার সময়ে সেটিকে স্ক্যান করে। এছাড়াও Google আরও বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে ম্যালিশিয়াস অ্যাপ থেকে আমাদের ডিভাইস কে সুরক্ষিত রাখে। সম্প্রতি Google একটি ব্লগ পোস্টে ২০২১ সালে কতগুলি দূষিত বা ম্যালিশিয়াস অ্যাপ থেকে স্মার্টফোন কে সুরক্ষিত রেখেছে তার পরিসংখ্যান সামনে এনেছে।
ইউজারের ডিভাইসকে ম্যালিশিয়াস সফ্টওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করলো Google
গুগলের বিবৃতি অনুসারে, তারা ব্যবহারকারীদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সব ধরণের প্রয়াস করে থাকে। যার দরুন ম্যালিশিয়াস অ্যাপ এবং ডেভেলপারদের থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষা রাখতে সংস্থাটি একাধিক প্রাইভেসি কেন্দ্রিক ফিচার চালু করেছে। সেক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোরের পর্যালোচনা বা রিভিউ প্রক্রিয়া চলাকালীন, ১.২ মিলিয়নেরও (১২ লক্ষ) বেশি অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে, যা মার্কেটপ্লেসের প্রাইভেসি পলিসি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়াও, সংস্থাটি ২০২১ সালে ১৯০,০০০টিরও বেশি ক্ষতিকারক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ এবং নিষ্ক্রিয় বা ডিঅ্যাক্টিভ থাকা প্রায় ৫০০,০০০টি ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছে।
গত বছরের মে মাসে, গুগল একটি ডেটা সেফটি সেকশন ঘোষণা করেছিল। যেখানে টেক জায়ান্টটি কোনো অ্যাপ ডিভাইস থেকে ঠিক কোন কোন তথ্যাদি বা ডেটা সংগ্রহ করবে সেই সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিল ডেভেলপারদের। একই সাথে যে সকল অ্যাপ প্লে স্টোরে অন্তর্ভুক্ত করছে ডেভলপাররা, সেগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও নিখুঁত বর্ণনা দিতেও বলেছিল গুগল। প্রসঙ্গত, গুগল প্লে ইকোসিস্টেমকে একটি নিরাপদ স্থান হিসাবে তৈরি করতে 'সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট' বা SDK ডেভেলপারদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপনও করছে আমেরিকা ভিত্তিক সংস্থাটি।
তদুপরি অ্যান্ড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ডিভাইসগুলিকে নিরাপদ রাখতে, গুগল ডেভেলপারদের জন্য ডেটা অ্যাক্সেস সীমিত করেছে। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে যে, নিম্নতর ওএস ভার্সন থেকে অ্যান্ড্রয়েড ১১ -এ স্থানান্তরিত প্রায় ৯৮% অ্যাপের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাক্সেস সীমিত করা হয়েছে। একইভাবে, লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১২ ওএসেও সংবেদনশীল তথ্যের ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গুগল বিকশিত পিক্সেল ব্যবহারকারীরা ডিভাইস এবং ডেটা নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে অনেকগুলি অতিরিক্ত ফিচারের সুবিধা পান। যেমন, 'সিকিউরিটি হাব' (Security hub) নামের একটি ফিচার আছে, যা ব্যবহারকারী তথা মোবাইলের সমস্ত সংবেদনশীল তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে ডিভাইসের বর্তমান কনফিগারেশনের একটি ওভারভিউ প্রদান করে৷ এই ফিচার, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা উন্নীত করার জন্য নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করে এবং একই সাথে প্রয়োজন মেটাতে কোন সেটিংস এনাবল করা উচিত সেই সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করে।