ইলেকট্রিক টু-হুইলার হবে আরও সস্তা, FAME II প্রকল্পে ভর্তুকি বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও মোদী সরকার দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাবহার বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। ব্যাটারির ক্ষমতার...প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও মোদী সরকার দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাবহার বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। ব্যাটারির ক্ষমতার হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে ক্রেতারা এতদিন Fame II [Faster Adoption and Manufacturing of (Hybrid) and Electric Vehicles] প্রকল্পের অধীনে বিশেষ আর্থিক সুবিধা পেতেন। বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে এবার কেন্দ্র এই প্রকল্পে সংশোধনের ঘোষণা করেছে। সংশোধনীর আওতায় সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, ফলে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ও স্কুটার কিনতে গিয়ে ক্রেতারা সরাসরি লাভবান হবেন।
দেশের ভারী শিল্প মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ইলেকট্রিক টু-হুইলারের জন্য প্রতি কিলোওয়াট পিছু ভর্তুকি বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা করা হয়েছে, পুরানো ভর্তুকির তুলনায় যা ৫,০০০ টাকা বেশি।
ফেম-২ প্রকল্পে সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থা এথার এনার্জি (Ather Energy) প্রথম বৈদ্যুতিন গাড়ি নির্মাতা হিসেবে তার ফ্ল্যাগশিপ ইলেকট্রিক স্কুটার 450X-এর দাম ১৪,৫০০ টাকা হ্রাস করার ঘোষণা করেছে। এথারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য ইলেকট্রিক টু-হুইলার ব্র্যান্ডগুলিও সংশোধিত দামের তালিকা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করবে বলে আশা করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইলেকট্রিক টু-হুইলারের মোট দামের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। দু'চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ভর্তুকি পাশাপাশি সরকার প্রচুর ইলেকট্রিক বাস এবং থ্রি-হুইলার কিনবে। ইনার্জি এফিসিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড বা ইইসিএলকে তিন লাখ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন বিভাগে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, ফেম-২ প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,০০০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে টু-হুইলার, বিশেষত ইলেকট্রিক স্কুটার সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি পেয়ে থাকে। তবে, প্রতিটি ইলেকট্রিক টু-হুইলার গাড়ি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই প্রকল্পে ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য ইলেকট্রিক টু-হুইলারে বেশ কিছু মানদন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন এতে ২৫০ ওয়াট বা তার বেশি ক্ষমতার মোটর, ৪০ কিমি/ঘন্টা সর্বোচ্চ গতিবেগ, এক চার্জে অন্তত ৮০ কিমি রাইডিং রেঞ্জ থাকা বাধ্যতামূলক। CRISIL-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,ভারতে প্রায় ৯৫ শতাংশ বৈদ্যুতিক স্কুটার ফেম-২ ভর্তুকির জন্য যোগ্য নয়।