২০২৩ থেকে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুল, ১৯৮৯ সংশোধনের মাধ্যমে দেশে নয়া আইন চালু করল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক। সরকার অনুমোদিত অটোমেটিক টেস্টিং স্টেশনে (ATS) পরীক্ষার পর ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী সামনের বছর থেকে সমস্ত গাড়িকে এটিএসে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বসাতে হবে৷ এটিএস থেকে দেওয়া গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার শংসাপত্রের মেয়াদ হবে দু’বছর৷ তবে গাড়ির বয়স ৮ বছরের বেশি হলে ক্ষেত্রে শংসাপত্র এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
উক্ত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৩-এর ১ এপ্রিল থেকে দেশের সমস্ত ভারী পণ্য পরিবহনকারী অথবা যাত্রীবাহী গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সরকার অনুমোদিত স্বয়ংক্রিয় কেন্দ্রে করতে হবে। ২০২৪-এর ১ জুন থেকে মাঝারি পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী ও হালকা গাড়ির এটিএস থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া অপরিহার্য হবে। উল্লেখ্য গত মাসে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার আগে সকলের মতামত জানতে এই সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতি নিয়ে এসেছিল কেন্দ্র। তার এক মাস পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
অটোমেটেড টেস্টিং স্টেশনে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। গত বছর কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার, বেসরকারিসংস্থা, সংগঠন এবং কোনো ব্যক্তি গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চাইলে এটিএস সেন্টার খুলতে পারেন। ব্যক্তিগত গাড়ির ফিটনেস টেস্টিং প্রতি ১৫ বছর অন্তর রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণের সময়ে করা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের রাস্তায় ৬০ লক্ষের অধিক গাড়ি চলে, যাদের বয়স খুব কম করে হলেও ১৫ বছরের বেশি। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এইসব গাড়ি উত্তীর্ণ হতে না পারলে বাতিল করা হবে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে পরিবেশ দূষণের জন্য এই জাতীয় গাড়ির থেকে নির্গত কার্বনযুক্ত কালো ধোঁয়া বিশেষভাবে দায়ী। এদিকে হাতে কলমে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে পরীক্ষকের কারচুপির বহু অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই কেন্দ্র এই বিষয়ে আর কোনো খামতি রাখতে চায় না। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা অর্থাৎ কম্পিউটার দ্বারা এই পরীক্ষাটি পরিচালিত হলে তা নির্ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।