শীঘ্রই গ্রামাঞ্চলে চালু হবে 5G, আসন্ন নেটওয়ার্ক বিকাশে রেডিও ইউনিট ব্যবহার হবে বলে জানাল সরকার
সারা দেশজুড়ে 5G (৫জি) পরিষেবা চালু করার জন্য ভারত সরকার জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রয়োজনীয় 5G...সারা দেশজুড়ে 5G (৫জি) পরিষেবা চালু করার জন্য ভারত সরকার জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রয়োজনীয় 5G স্পেকট্রামের নিলাম শুরু হবে বলেও কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, খুব শীঘ্রই শহরের পাশাপাশি গ্রামেও 5G পরিষেবা চালু করতে চলেছে সরকার এবং এর জন্য যোগাযোগ বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এর আগে 4G (৪জি) পরিষেবার ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় গ্রাম অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। শহরে চালু হওয়ার অনেকটা সময় পরে গ্রামাঞ্চলে এই সার্ভিস উপলব্ধ হয়। এমনকি ভারতে এখনও এমন অনেক গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে যেখানে কেবলমাত্র 2G পরিষেবা পাওয়া যায়। এমত পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে নেওয়া এই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত যে যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।
মাসের বিশেষ সপ্তাহে গ্রামীণ নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিল সরকার
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক উদযাপিত ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহে একটি আলোচনা চলাকালীন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে একটি রেডিও ইউনিট। গ্রামাঞ্চলে এই ৫জি রেডিও ইউনিট স্থাপনের ফলে সেখানে খুব সহজেই পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিস চালু করা যাবে। এমনকি অত্যন্ত জনবহুল এলাকায়ও রেডিও ইউনিট মারফত ৫জি পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।
6G পরিষেবার জন্যও যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র
আলোচনায় আরও জানা গিয়েছে যে, টেলিকম মন্ত্রক ৬জি (6G) পরিষেবার জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই কাজের জন্য ছয়টি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তবে ৬ষ্ঠ প্রজন্মের নেটওয়ার্কের পরিভাষা কী হবে এবং জনসাধারণ এর সুবাদে ঠিক কীভাবে বা কতটা উপকৃত হবেন, সে সম্পর্কে এখনও বিশেষ কোনো তথ্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিগত দু-তিন বছর ধরে 5G রোলআউটের একের পর এক সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও প্রতিবারই তা পিছিয়ে গিয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত দেশবাসী এই দ্রুতগতির নেটওয়ার্কের মুখ দেখতে পায়নি। তবে 6G পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে আর এমন দেরি হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।