Nitin Gadkari: পাঁচ বছরে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবসার লক্ষ্য, গাড়ি শিল্প ঢেলে সাজাতে তৈরি কেন্দ্র

‘ভারতের অটোমোবাইল শিল্প হবে বিশ্বের এক নম্বর’, এমন লক্ষ্যমাত্রার কথা চলতি মাসেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ী (Nitin Gadkari)। আজ পুনরায় এ…

‘ভারতের অটোমোবাইল শিল্প হবে বিশ্বের এক নম্বর’, এমন লক্ষ্যমাত্রার কথা চলতি মাসেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ী (Nitin Gadkari)। আজ পুনরায় এ বিষয়ে সওয়াল করতে শোনা গেল তাঁকে। গ্রেটার নয়ডাতে সরকার অনুমোদিত Maruti Suzuki এবং Toyota Tsusho-র স্ক্র্যাপিং ফেসিলিটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের যানবাহন শিল্পে আগামী পাঁচ বছরে লেনদেনের পরিমাণ ১৫ লক্ষ কোটি টাকা হবে বলে মন্তব্য করেন নিতিন গড়কড়ী। বর্তমানে যেখানে দেশে অটোমোবাইলের বাজারে ঘাটতি চলছে, সেখানে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর এহেন উচ্চাশাজনক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে যে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটিকেই আগাগোড়া ঢেলে সাজাতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, এখন অটোমোবাইল শিল্পে লেনদেনের পরিমাণ রয়েছে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩ কোটি টাকা আসে রপ্তানি ক্ষেত্রটি থেকে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গড়কড়ী বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অটো ইন্ডাস্ট্রির লেনদেনের পরিমাণ ১৫ লক্ষ কোটি টাকা করাই আমার লক্ষ্য।” আবার ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত সরকার। এই অভীষ্ট পূরণ করতে সিএনজি, এলএনজি, সবুজ হাইড্রোজেন, ইথানল ফুয়েল এবং ইলেকট্রিক যানবাহনকে পরিবহণ ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন গডকড়ী। সম্প্রতি COP26 সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা করেছেন।

বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির জন্য সরকারের খরচ হয় ৮ লক্ষ কোটি টাকা এবং এই ব্যাপক অর্থের পরিমাণটি আগামী পাঁচ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়ে ২৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক মন্ত্রী। যদিও সরকারের লক্ষ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কৃষিকে বহুমুখী হিসেবে ব্যবহার করা এবং খরচ কমানো। এই কারণে শীঘ্রই দেশে ফুয়েল ইঞ্জিন গাড়ি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। জানিয়ে রাখি, ইথানল বা ফ্লেক্স-ফুয়েল কৃষিজ ফসল যেমন আখ ও গুড় থেকেই প্রস্তুত করা হয়, যা বায়ো-ফুয়েল নামেও পরিচিত। তবে বর্তমানে ধান, ভুট্টা এবং অন্যান্য খাদ্য শস্য থেকেও এই বায়ো-ইথানল তৈরির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই প্রসঙ্গে গডকড়ী বলেছেন যে বায়োফুয়েল যেমন পরিবেশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর, পাশাপাশি কৃষিকাজের জন্যও লাভদায়ক।

পাশাপাশি নিতিন গড়কড়ী (Nitin Gadkari) ভেহিকেল স্ক্র্যাপেজ পলিসি সম্পর্কে বলেছেন, এই স্ক্র্যাপেজ পলিসি ঘোষণার ফলে সারা দেশে এর সেন্টার খোলা হবে, ফলে ভারতে প্রত্যক্ষভাবে দু’লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি দেশে যানবাহন বিক্রির সংখ্যাও বাড়বে। তাঁর কথায়, “মোটরগাড়ি বিক্রির মাধ্যমে জিএসটির রাজস্বের পরিমাণ বেড়ে ৩০,০০০-৪০,০০০ লক্ষ কোটি টাকা হবে। ফলে সরকারের আয়ও বাড়বে।”