মোদি সরকারের Free Recharge স্কিম: এক মাসের ডেটা-কলিং সম্পূর্ণ ফ্রি, সত্যিই কি তাই?
হাজার সাবধান হয়েও যেন অনলাইন জালিয়াতি ঠেকানো যাচ্ছেনা। দেশের মানুষ দিনের পর দিন যতো বেশি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের...হাজার সাবধান হয়েও যেন অনলাইন জালিয়াতি ঠেকানো যাচ্ছেনা। দেশের মানুষ দিনের পর দিন যতো বেশি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন, সেই নির্ভরশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বা ঠিক যেন তার সাথে পাল্লা দিয়েই চারদিকে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে আরেক দল মানুষ। যেমন বারবার সতর্কতা জারি হলেও, সম্প্রতি আবারও ফ্রি মোবাইল রিচার্জ স্কিমের মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। 'ভারত সরকার নাগরিকদের বিনামূল্যে ২৩৯ টাকার মোবাইল রিচার্জ অফার করছে', এই মর্মে WhatsApp-এ ব্যাপকভাবে মেসেজ শেয়ার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ফ্রি রিচার্জ পেতে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব হল যে, কেন্দ্রের তরফে এধরনের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছেনা। এই মেসেজ সম্পূর্ণরূপে স্ক্যামারদের একটি কৌশল এবং প্রদত্ত লিঙ্কে ক্লিক করলে বড় আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
WhatsApp-এ ভাইরাল মেসেজ ভুয়ো, ফ্রি-তে মিলছে না ২৩৯ টাকার রিচার্জ
এই মুহূর্তে দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি এয়ারটেল (Airtel) এবং জিও (Jio), উভয়েই ২৩৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যান অফার করে; এদের ৫জি (5G) পরিষেবা পেতেও নূন্যতম এই অ্যামাউন্টটিই রিচার্জ করতে হয়। সেক্ষেত্রে হালফিলে আবারও হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার 'ফ্রি মোবাইল রিচার্জ স্কিমে'-এর অধীনে সমস্ত ভারতীয় মোবাইল ইউজারকে ২৩৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যান ফ্রি-তে অফার করছে, যাতে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এই এক মাসের রিচার্জটি ফ্রি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন – এমনটাও দাবি করে একটি লিঙ্কে ক্লিক করার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে ওই মেসেজে।
কিন্তু বারবার ফরোয়ার্ড করা হলেও ওই মেসেজটি পুরো ভুয়ো। উল্লেখ্য, গত মার্চ থেকে এই একইরকম মেসেজ বারবার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে,l এরকম মেসেজে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে ফ্রি রিচার্জ ক্লেইম করার জন্য যে সময়সীমা (কোনো মেসেজে ৩০শে মার্চ, কোথাও ২০শে আগস্ট) দেওয়া হয়েছে তা আগেই অতিক্রান্ত। শুধু তাই নয়, ভাইরাল মেসেজের ভাষা, শৈলি ইত্যাদিতেও ভুল খুঁজে পাওয়া যাবে।
এমতাবস্থায় সরকারি সংস্থা পিআইবি (PIB)-ও ভাইরাল মেসেজটিকে ভুয়ো বলে সবাইকে সাবধান করেছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক তাদের এক্স (X, টুইটারের নতুন নাম) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এটিকে কেলেঙ্কারি হিসেবে স্পষ্ট আখ্যা দিয়েছে। অতএব, এরকম মেসেজ বা অজানা লিঙ্কে ক্লিক করার আগে সতর্ক হন, নাহলে স্ক্যামাররা আপনার জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর, সংবেদনশীল ডেটা, ব্যাঙ্কের বিবরণের মতো তথ্য এমনকি টাকাও চুরি করতে পারে।