5G Tower Scam: বাড়িতে টাওয়ার বসানোর জন্য ফোন পেয়েছেন? সতর্ক করল সরকার
ক্রমাগত বাড়তে থাকা 4G ও 5G টাওয়ার জালিয়াতি সম্পর্কে এবার আমজনতাকে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় সরকার। আজ্ঞে হ্যাঁ, টাওয়ার...ক্রমাগত বাড়তে থাকা 4G ও 5G টাওয়ার জালিয়াতি সম্পর্কে এবার আমজনতাকে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় সরকার। আজ্ঞে হ্যাঁ, টাওয়ার জালিয়াতি, যেখানে অতি ধুরন্ধর সাইবার প্রতারকেরা আপনার নিজের জমি বা বাড়ির প্রাঙ্গণে নতুন 4G/5G টাওয়ার বসানোর কথা বলে আপনার কাছ থেকেই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেবে! সম্প্রতি বহু মানুষের কাছেই এমন জালিয়াতিমূলক নকল মেসেজ পৌঁছে যাচ্ছে। সেগুলিতে সাইবার প্রতারকেরা হাজার হাজার টাকা ভাড়ার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার উপায় খুঁজছে। আর সেকারণেই এবার প্রত্যক্ষভাবে জনতাকে সতর্ক করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
বাড়িতে টাওয়ার বসানোর মেসেজ পেলে সাবধান! ফাঁদে পা দেবেন না
সম্প্রতি 4G/5G টাওয়ার সংক্রান্ত যে নকল মেসেজগুলি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে সেখানে মেসেজ প্রাপকের বিশ্বাস আদায়ের উপায় হিসেবে প্রতারকেরা প্রথমেই উল্লেখ করছে যে সরকার তার জমিতে 4G/5G বসানোর ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং এক্ষেত্রে রাজি হলে টাওয়ার স্থাপনের পরিবর্তে তিনি (মেসেজ প্রাপক) ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক ভাড়া পেতে পারেন, যা সব অর্থেই লোভনীয় প্রস্তাব। আর এই প্রস্তাবে ঘায়েল হলেই ঘটছে বিপত্তি, কেননা সেই মুহূর্তে প্রাপকের লোভের ফায়দা উঠিয়ে প্রতারণাকারী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ তার অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমনকি টাকাপয়সা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে, যা সত্যিই বেশ দুশ্চিন্তার বিষয়।
এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমেই সাধারণ জনতাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তাছাড়া সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর বা ডট (DoT) কারো জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের কাজ তদারকি করেনা। সুতরাং এক্ষেত্রে তাদের পক্ষে কোনরকম অনুমোদনপত্র লাগু করা সম্ভব না বলেও, সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে।
এছাড়া দেশের টেলিযোগাযোগ দপ্তরের তরফ থেকেও কিছুদিন আগে এক টুইটের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারণার ব্যাপারে মানুষকে সাবধান করা হয়। সর্বোপরি পিআইবি'র (PIB) অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটেও টাওয়ার জালিয়াতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সাধারণত টেলিকম অপারেটর ও পরিকাঠামো প্রদানকারীদের (IP-1) নির্দেশ অনুযায়ী সর্বত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের কাজ পরিচালিত হয়। ফলে এক্ষেত্রে সরকারি তরফে অনুমোদন প্রাপ্তির মেসেজ পেলে তা নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।