পেট্রোলের পাশাপাশি বাইক চলছে ব্যাটারিতেও! দেশের হবু ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনব উদ্ভাবন
জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান দামে রীতিমত ছেঁকা খাচ্ছে আমজনতা। দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না-পেরে অনেকেই খুব প্রয়োজন ছাড়া আর...জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান দামে রীতিমত ছেঁকা খাচ্ছে আমজনতা। দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না-পেরে অনেকেই খুব প্রয়োজন ছাড়া আর গাড়ি বার করছেন না। তাই রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা খানিকটা কমে গিয়েছে। আবার নতুন গাড়ি বিশেষত মোটরসাইকেল/স্কুটার কিনবেন বলে যারা পরিকল্পনা করছেন, তাঁরাও ইলেকট্রিক টু-হুইলার সম্পর্কে বিশদে জানতে ইন্টারনেটে ঢুঁ মারছেন। আচ্ছা সাধারণ মোটরসাইকেলকে যদি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চালানো যেত। কিংবা ধরুন, এমন মোটরসাইকেল যা পেট্রোল এবং বিদ্যুৎ উভয়ে অর্থাৎ হাইব্রিড শক্তিতে চলবে! রাজকোটের ভিভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সপ্তম সেমেস্টারে পাঠরত একদল পড়ুয়া ঠিক এই ভাবনাকে কাজ লাগিয়ে হাইব্রিড মোটরসাইকেল তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
পেট্রোল ও ব্যাটারিতে চলবে বাইক
সাধারণ মোটরসাইকেলের ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনকে চালানোর জন্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই পড়ুয়ারা একটি ব্যাটারি ইনস্টল করেছে। পাওয়ারট্রেনকে আলাদা করতে তারা সুইচের সাহায্য নিয়েছে। বাইক পেট্রোল না বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলবে, তা ওই সুইচের মাধ্যমে রাইডার স্থির করতে পারবে। হাইব্রিড মোটরসাইকেলের এই প্রকল্পটির সাথে যুক্ত থাকা পড়ুয়ারা জানিয়েছে, ব্যাটারি ফুল-চার্জ হলে পেট্রোল ছাড়াই সেটি মোটরসাইকেলকে ৪০ কিমি পথ দৌড়তে সাহায্য করবে।
ভিভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেকানিক্যাল বিভাগের ডিন ড: মনিয়ার সংবাদ সংস্থা এনআই-কে বলেছেন, এটি বিকাশের মূল কারণ জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম। ধীরগতিতে চার্জ, বেশি দাম - বৈদ্যুতিক যানবাহনের সঙ্গে এই সমস্যাগুলি রয়েছে। তাই আমরা এমন একটি গাড়ি নিয়ে ভাবলাম যা পেট্রোল এবং ইলেকট্রিসিটি, উভয়ে চলতে পারে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারা এই হাইব্রিড মোটরসাইকেলে চারটি পৃথক ব্যাটারি সংযুক্ত করেছে, যা পুরো চার্জ হতে ছ'ঘন্টা সময় নেয়। ১৭ পয়সার এক ইউনিট বিদ্যুত খরচ করে এটি সর্বোচ্চ ৪০ কিমি/ঘন্টা গতিসীমায় একটানা ৪০ কিমি পথ চলতে সক্ষম।