Hero Electric-এর ই-স্কুটার ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, জনবহুল স্থানে গড়ে তুলবে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া স্টেশন

লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার উৎপাদনের সংখ্যা না হয় বাড়ানো গেল। কিন্তু বাজারে বিক্রি তখনই বাড়বে, যখন বিদ্যুৎ চালিত বাইক বা স্কুটারটি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে…

লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার উৎপাদনের সংখ্যা না হয় বাড়ানো গেল। কিন্তু বাজারে বিক্রি তখনই বাড়বে, যখন বিদ্যুৎ চালিত বাইক বা স্কুটারটি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে মাঝ পথে গিয়ে চার্জ ফুরিয়ে গেলে কী হবে, আমজনতার সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, এই ধরনের গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানোর কথাই বলা হচ্ছে। এবার দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার সংস্থা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric) চার্জিং স্টেশন নির্মাতা ইলেকট্রিকপে (ElectricPe)-র সাথে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করল। উদ্দেশ্য ওই একটাই, যৌথভাবে ইভি (Electric Vehicle) চার্জিং স্টেশনের নির্মাণ।

আসলে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের রাস্তায় যে ২০ লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহন সক্রিয়ভাবে চলাচলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে সামিল হতেই এই পদক্ষেপ। চুক্তি অনুযায়ী ইলেকট্রিকপের চার্জিং নেটওয়ার্ক থেকে হিরো ইলেকট্রিকের গ্রাহকরা পরিষেবা পাবেন। এদিকে গত বছরের শেষার্ধে ১ লক্ষ চার্জিং পয়েন্ট বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্থাটি। এটি সম্ভবত তারই পদক্ষেপ।

জানা গেছে চার্জিং পয়েন্টগুলি আবাসন, অফিস, শপিং মল এবং অন্যান্য জনবহুল স্থানে গড়ে তোলা হবে। ফলে টু-হুইলারের রেঞ্জ কম হলেও, সেটি আর মাথা ব্যথার কারণ হবে না। এই প্রসঙ্গে হিরো ইলেকট্রিকের সিইও সোহিন্দর গিল (Sohinder Gill) বলেন, “দেশে দ্রুত বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রির সংখ্যা বাড়াতে একটি বলিষ্ঠ চার্জিং নেটওয়ার্ক থাকা ভীষন জরুরী। এই যৌথ প্রয়াস গ্রাহকদের নির্ঝঞ্ঝাট চার্জিং এবং সিভি রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা দেবে।”

গিল আরও বলেন, “বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রসার ঘটাতে আমাদের লক্ষ্য এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়নে আমরা হাড়ভাঙা খাটুনি খাটছি। দেশের সবুজায়নে আমাদের এই যৌথ প্রয়াস সহায়তা করবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।” এদিকে ইলেকট্রিকপে’র সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অবিনাশ শর্মা জানান, “দেশের মানুষ যাতে আরামের সাথে বৈদ্যুতিক যানবাহন চালাতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ভারতের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার প্রস্তুতকারীর সাথে জোটবদ্ধ হতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।”