বাজারে দাপট বাড়াতে নতুন স্টাইলিশ স্কুটার আনছে Hero, ইঞ্জিন-ফিচার কেমন দেখে নিন
দেশের তরুণ প্রজন্মের খুব কাছের স্কুটার হিসেবে পরিচিত Hero Maestro এবার নতুন ধাঁচে হাজির হতে চলেছে সবার সামনে। Splendor...দেশের তরুণ প্রজন্মের খুব কাছের স্কুটার হিসেবে পরিচিত Hero Maestro এবার নতুন ধাঁচে হাজির হতে চলেছে সবার সামনে। Splendor মোটরসাইকেল নির্মাতার পোর্টফোলিওতে যুক্ত হতে চলেছে Maestro-র নয়া স্টাইলিশ ভ্যারিয়েন্ট Zoom। যা আগামী ৩০শে জানুয়ারি ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে হতে চলেছে। দিল্লির পরিবহন দপ্তরের নথি থেকে জানা গিয়েছে Hero Maestro Xoom তিনটি আলাদা ভ্যারিয়েন্টে আসবে - LX, VX এবং ZX।
নতুন মডেলটির দৈর্ঘ্য ১,৮৮১ মিমি হলেও প্রস্থ ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী ভিন্ন। LX ও VX এর ক্ষেত্রে ৭১৭ মিমি এবং ZX এর ক্ষেত্রে তা ৭৩১ মিমি। স্কুটারটির উচ্চতা ১,১১৭ মিমি। হুইলবেসের দৈর্ঘ্য ১৩০০ মিমি, যা বাজারে উপলব্ধ Maestro Edge এর চেয়ে ৩৯ মিমি বেশি। হুইলবেস দীর্ঘ হওয়ায় আগের তুলনায় এর স্টেবিলিটি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে, যা হাইওয়েতে অতিরিক্ত সুরক্ষা যোগাবে।
Maestro Xoom দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে খানিকটা বড় হলেও উচ্চতায় Maestro Edge এর চেয়ে ৭১ মিমি কম। এমনকি আগের তুলনায় গ্রস ভেইকেল ওয়েট বেশ খানিকটা কমানো হয়েছে এতে। যেমন LX ও VX মডেল দুটিতে সেটা ২৩৮ কেজি হলেও ZX ভ্যারিয়েন্টে সর্বোচ্চ ২৩৯ কেজি ওজন চাপানো যাবে।
ডকুমেন্ট অনুযায়ী, সাধারণ মডেলের মতোই ১১০.৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিনে চলবে এটি। ইঞ্জিনটি থেকে উৎপাদিত পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ৮ বিএইচপি এবং ৮.৭ এনএম। মাইলেজ বাড়ানোর জন্য নতুন মডেলে যুক্ত হয়েছে i3s প্রযুক্তি যা সুইচ চেপে ব্যবহার করা যাবে। এর পাশাপাশি ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ ফাংশন থাকবে এতে।
সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে Maestro Xoom 110 এর সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনের দিকে সাধারণ সক অ্যাবজর্ভার সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে উভয় চাকাতেই ড্রাম ব্রেকের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাবে। ডিস্ক ব্রেক অপশনাল হওয়ার সম্ভাবনা। টিজার অনুযায়ী, স্কুটারটি সামনের দিকে ইংরেজী এক্স আকৃতির এলইডি ডিআরএল সহ এলইডি হেডল্যাম্প এবং পিছনের দিকে একই ডিজাইনের টেলল্যাম্প থাকবে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, হিরো মোটোকর্পের প্রথম স্কুটার এটাই, যেখানে সামনে ও পিছন দু'দিকেই ১২ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল থাকছে। বিশেষ ফিচারগুলির মধ্যে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন, ইউএসবি চার্জার, ওডোমিটার এবং ট্রিপ মিটার সহ স্টার্ট/স্টপ সিস্টেম।
যেহেতু Maestro Edge এর তুলনায় অনেক বেশি প্রিমিয়াম ফিচার সমৃদ্ধ মডেল হিসেবে বাজারে আসতে চলেছে Maestro Xoom 110 cc, তাই এর দাম হাজার চারেক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে Maestro Edge মডেলটির ড্রাম ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ৬৬,৮২০ টাকা। অন্যদিকে ডিস্ক ভ্যারিয়েন্ট কিনতে খরচ হয় ৭৩,৪৯৮ টাকা।