Hero Super Splendor নয়া অবতারে শীঘ্রই লঞ্চ হবে, উন্নত ইঞ্জিনের সঙ্গে একঝাঁক নতুন ফিচার
ভারতের বৃহত্তম টু-হুইলার কোম্পানি হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) তাদের বিভিন্ন কমিউটার মোটরসাইকেলের অত্যাধুনিক XTEC...ভারতের বৃহত্তম টু-হুইলার কোম্পানি হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) তাদের বিভিন্ন কমিউটার মোটরসাইকেলের অত্যাধুনিক XTEC ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে Glamour, Splendor Plus ও Passion। এবারে বহুল জনপ্রিয় Super Splendor-এর XTEC ভার্সন লঞ্চ করতে চলেছে সংস্থা। ইতিমধ্যেই সংস্থার বিভিন্ন শোরুমে নতুন বাইকটি পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে হিরো আনুষ্ঠানিক ভাবে খুব শীঘ্রই লঞ্চের কথা ঘোষণা করবে বলে আশা করা যায়। বলাই বাহুল্য যে, সাধারন Hero Super Splendor-এর তুলনায় XTEC মডেলটির দাম সামান্য বেশি পড়বে।
Hero Super Splendor XTEC ফিচার্স
Hero Super Splendor XTEC ভারতের বাজারে Bajaj CT 125X এবং Honda Shine-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এতে আরও বেশি ফিচারের দেখা মিলবে। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে এতে নতুন এলইডি হেডল্যাম্প, এবং এলইডি ডেটাইম রানিং লাইটের দেখা মিলবে। আবার ফ্রন্ট কাউল এবং ভাইজারেও ভিন্নতা নজরে পড়বে।
সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের বদলে দেওয়া হয়েছে আরও অত্যাধুনিক অল-ডিজিটাল কনসোল। যাতে রয়েছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং কল ও এসএমএস-এর জন্য অ্যালার্ট ফাংশন। এছাড়া সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেশন, ফুয়েল লেভেল, রিয়েল টাইম ফুয়েল এফিশিয়েন্সি, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট সহ হাজির হবে হিরো সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক।
Hero Super Splendor XTEC ডিজাইন
ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে হিরো তাদের Super Splendor XTEC নতুন গ্রাফিক্স এবং পেইন্ট স্কিম সহ হাজির করবে। এগজস্ট ইউনিটে বদল আনা হয়েছে। এছাড়া একটি নতুন ফুয়েল ট্যাঙ্কে দেখা মিলবে নতুন থ্রিডি লোগো।
Hero Super Splendor XTEC-এ OBD2 ইঞ্জিন
পাওয়ারট্রেনে আপডেট বলতে এতে দেওয়া হয়েছে Hero Super Splendor XTEC নতুন নির্গমন বিধি ওবিডি-২ পালনকারী ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন সহ আসবে। যা থেকে ৭,৫০০ আরপিএম গতিতে ১০.৭ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ১০.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। সংযুক্ত থাকবে ৫-স্পিড ট্রান্সমিশন।
Hero Super Splendor XTEC হার্ডওয়্যার
Hero Super Splendor XTEC-এর কারিগরিতে তেমন কোন আপডেট দেওয়া হচ্ছে না। আগের মতই একটি ডায়মন্ড ফ্রেমের ওপর ভিত্তি করে অ্যালয় হুইলে ছুটবে বাইকটি। সামনে ও পেছনে থাকছে যথাক্রমে ৮০/১০০-১৮ ও ১০০/৮০-১৮ সেকশন টিউবলেস টায়ার। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাবে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং অ্যাডজাস্টেবল হাইড্রোলিক রিয়ার শক অ্যাবজর্বার। এটি ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক অথবা ১৩০ মিমি ফ্রন্ট ড্রাম এবং ১৩০ মিমি রিয়ার ড্রাম ব্রেক সহ কেনা যায়। ১০ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও ১৮০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে।