Hero Xpulse 200T 4V নাকি TVS Apache RTR 200 4V? কোন বাইকে বেশি ফায়দা
চলতি সপ্তাহেই ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারতে লঞ্চ হয়েছে হিরো মটোকর্পের Xpulse 200T-র নতুন সংস্করণ Xpulse 200T 4V। পূর্ববর্তী...চলতি সপ্তাহেই ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারতে লঞ্চ হয়েছে হিরো মটোকর্পের Xpulse 200T-র নতুন সংস্করণ Xpulse 200T 4V। পূর্ববর্তী ভার্সনের থেকে নতুন ভার্সনে ইঞ্জিনের খোল নলচে বদলের পাশাপাশি বদলেছে বাহ্যিক ডিজাইনও। বর্তমান দিনে অনেক মানুষ জ্বালানি সাশ্রয়ের সাথে আরামদায়ক ভাবে চলাচলের জন্য ২০০ সিসির মোটরবাইক কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর কারনটা খুব সহজ, দিনের শেষে প্রায় সবাইকেই প্রতিদিনের যাতায়াতের কথা ভেবে বাইক পছন্দ করতে হয়। এই সেগমেন্টে Xpulse 200T 4V-কে উপযুক্ত টক্কর দিতে আগেভাগেই বাজার দখল করে রেখেছে TVS Apache RTR 200 4V। এই দুটি বাইকের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা দেওয়া হলো এখানে।
TVS Apache RTR 200 4V vs Xpulse 200T 4V: লুকস
Apache RTR 200 4V-র ডিজাইন অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ। সামনে রয়েছে কৌণিক আকৃতির হেডল্যাম্প, বৃহদাকার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, স্প্লিট সিট, ট্যাংক স্রাউড, স্প্লিট গ্র্যাব রেল এবং উঁচু করা পিছনের অংশ। অন্যদিকে Xpulse 200T 4V খানিকটা নিও-রেট্রো স্টাইলের। একদম সামনে দেওয়া হয়েছে ছোট উইন্ডশিল্ডের সঙ্গে গোলাকার এলইডি হেডল্যাম্প। এছাড়াও একটানা লম্বা সিট, গ্র্যাবরেল এবং ফর্ক কভার রয়েছে এখানে। যদিও হিরোর এই মডেলটিতে বিভিন্ন ধরনের চিত্তাকর্ষক কালার স্কিম থাকায় রাস্তায় পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি।
TVS Apache RTR 200 4V vs Xpulse 200T 4V: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
টিভিএস এই বাইকটিতে ১৯৭.৭৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার/অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি থেকে স্পোর্ট মোডে ৯,০০০ আরপিএম গতিতে ২০.৫ বিএইচপি এবং ৭,২৫০ আরপিএম গতিতে ১৭.২৫ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। তবে আরবান ও রেইন মোডে উৎপাদিত পাওয়ার ও টর্কের পরিমাণ যথাক্রমে ৭,৮০০ আরপিএম গতিতে ১৭.৬ বিএইচপি এবং ৫,৭৫০ আরপিএম গতিতে ১৬.৫১ এনএম।
অপর হাতে থাকা Xpulse 200T 4V-তে চালিকাশক্তি যোগায় এয়ার/অয়েল কুল্ড প্রযুক্তিযুক্ত ১৯৯.৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৮.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৭.৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয় এই ইঞ্জিন থেকে। দুটি বাইকের ক্ষেত্রেই ৫ ধাপযুক্ত গিয়ার বক্স থাকলেও অ্যাপাচিতে স্লিপার ক্লাচ উপলব্ধ রয়েছে।
TVS Apache RTR 200 4V vs Xpulse 200T 4V: ফিচার
বিভিন্ন রকম অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যের বিষয় বলতে গেলে দুটি বাইকেই রয়েছে নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য। তবে TVS Apache RTR 200 4V এদিক থেকে খানিকটা এগিয়ে। এতে দেখা যায় অ্যাডজাস্টেবল ব্রেক ও ক্লাচ লিভার, এডজাস্টেবল সাসপেনশন, GTT প্রযুক্তি, রাইডিং মোড, রেস টেলিমেটরি সিস্টেম, ব্লুটুথ সংযোজন, ক্র্যাশ এলার্ট সিস্টেম এবং এলইডি লাইট। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দুই ধরনের অপশনই উপলব্ধ রয়েছে এখানে।
Xpulse 200T 4V-র প্রসঙ্গে বলতে গেলে এখানে সব জায়গাতেই এলইডি লাইটের ব্যবহার চোখে পড়ে। এছাড়াও ব্লুটুথ সংযোজন, ইউএসবি চার্জার, সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এবং এডজাস্টেবল রিয়ার সাসপেনশন রয়েছে এতে।
TVS Apache RTR 200 4V vs Xpulse 200T 4V: মূল্য
দামের বিচারে অনেকটাই সস্তা Xpulse 200T 4V। এর এক্স শোরুম মূল্য ১.২৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে TVS Apache RTR 200 4V মডেলটির সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস কিনতে খরচ পড়বে যথাক্রমে ১.৪০ লাখ টাকা ও ১.৪৪ লাখ টাকা (এক্স শোরুম)।