আপনার চোখের ক্ষমতা কত মেগাপিক্সেল? Camera থেকেই বা কতটা আলাদা এই ইন্দ্রিয়? জেনে নিন
এখন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে অধিকাংশই সেটির ক্যামেরা কোয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেন। মোবাইল ফটোগ্রাফি এখন বলতে গেলে কম-বেশি...এখন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে অধিকাংশই সেটির ক্যামেরা কোয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেন। মোবাইল ফটোগ্রাফি এখন বলতে গেলে কম-বেশি সবারই শখ। আর তাই, সাধারণ মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এখন বিভিন্ন মোবাইল ব্র্যান্ডও উন্নত মানের ক্যামেরা, ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যাপাসিটির লেন্সের মতো একাধিক বৈশিষ্ট্য অফার করে। শুধু তাই নয়, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট থেকে কালার, স্টিল থেকে ডিজিটাল হয়ে এখন সাধারণ ক্যামেরাতেও এসেছে বদল – সাম্প্রতিক বছরগুলিতে DSLR ক্যামেরা ঝকঝকে এবং ডিটেইল ছবি ক্যাপচারের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এতো গেল যন্ত্র বা ডিভাইসের ব্যাপার, সেক্ষেত্রে এই প্রশ্ন কি কখনও আপনার মাথায় এসেছে যে একজন মানুষের চোখে কত মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকতে পারে? না, মানুষের চোখে কোনো ক্যামেরা নেই। তবে একজন চোখ দিয়ে কীভাবে এত স্পষ্ট দেখতে পারে এবং কত মেগাপিক্সেলের সাথে তার তুলনা করা যায়, সেই সমস্ত কথাই আজ আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব।
মানব চক্ষুর রেজোলিউশন ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সমান
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজ্ঞানী ও ফটোগ্রাফার ডক্টর রজার ক্লার্ক বলেছেন যে মানুষের চোখের রেজোলিউশন ৫৭৬ মেগাপিক্সেলের সমান। তাই চোখ দিয়ে এত স্পষ্ট দেখা যায়। তবে গবেষকরা বলছেন, ফোনের ক্যামেরার সঙ্গে মানুষের চোখের তুলনা করা যায়না, কারণ এই দুটিই সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
ক্যামেরা একটি যন্ত্র, কিন্তু চোখ সজীব। বাস্তবে ক্যামেরা সামগ্রিক ফটো ক্যাপচারের উপর ফোকাস করে। কিন্তু আমাদের চোখ, বস্তু দেখতে বা চিনতে সাহায্য করে। আমরা ফোনে বা পিসিতে যে ফটোগুলি দেখি তা বিল্ডিং ব্লক দিয়ে তৈরি, এটি ছবির ক্ষুদ্রতম একক। তাই, একটি ভাল ফটোতে সর্বাধিক সংখ্যক পিক্সেল থাকা উচিত। যত বেশি পিক্সেল থাকবে, ছবি তত পরিষ্কার হবে। কিন্তু চোখের দেখার সাথে পিক্সেলের কোনো সম্পর্ক নেই।
আগেই বলেছি, ডিজিটাল ক্যামেরা যেভাবে কাজ করে চোখ সেভাবে করে না। চোখের কাজ করার উপায় আলাদা। পাওয়ার এবং মেশিনারি মেকানিজম দ্বারা নির্মিত ক্যামেরার সহায়তায় যেকোনো ছবি জুম করে দেখা যায়। অন্যদিকে, চোখ, স্নায়ুতন্ত্র এবং রেটিনা নিয়ে গঠিত। এর মাধ্যমে একজন মানুষ কোনো বস্তুকে চিনতে বা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।